যশোরে নববধূর মরদেহ রেখে পালালেন স্বামী

স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন যশোরের মণিরামপুরে ফাতেমা খাতুন (২০) নামে এক নববধূর মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায়। তবে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ করেছেন নিহতের পরিবার।

সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী সোহান হোসেনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন :
জাবিতে বাঁধন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল ইউনিটের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন

নিহত ফাতেমা অভয়নগর উপজেলার জিয়াডাঙ্গা গ্রামের ইয়াসিন আলীর মেয়ে। নিহতের স্বজনরা জানান, দুই মাস আগে ফাতেমার সঙ্গে বিয়ে হয় মণিরামপুর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে সোহান হোসেনের। বিয়ের পর থেকে আড়ত ব্যবসার জন্য তিন লাখ টাকা যৌতুকের জন্য ফাতেমাকে চাপ দিতে থাকেন সোহান। কিছুদিন আগে টাকার জন্য ফাতেমাকে অকথক নির্যাতন মারধর করে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেন সোহান।

সবশেষ গত শনিবার শ্বশুরবাড়ি থেকে এক লাখ টাকাসহ স্ত্রীকে নিজ বাড়ি নিয়ে আসেন সোহান। বাড়িতে ফিরে বাকি দুই লাখ টাকার জন্য তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর রবিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ফাতেমাকে মৃত অবস্থায় মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফেলে রেখে চলে যান সোহান ও তার পরিবারের লোকজন।

ফাতেমার বাবা ইয়াসিন আলীর দাবি, তার মেয়ের শরীরজুড়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। যৌতুকের জন্য ফাতেমাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। এর বিচার দাবি করেন তিনি।

মণিরামপুর থানার ওসি নূর-ই আলম সিদ্দিকী জানান, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফাতেমার স্বামী সোহান হোসেনকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।

সেপ্টেম্বর ১২,২০২২ at ১২:৫৭:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ /আক /সয /শই