দৌলতপুরে বন্যা কবলিতদের মাঝে প্রশাসনের চাল বিতরণ

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের চিলমারী ইউনিয়নে বন্যা কবলিতের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের চাল বিতরণ।

হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পদ্মার পানি প্রবাহ বিপৎসীমা থেকে শূন্য দশমিক দুই সেন্টিমিটার কমলেও কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। ফলে দুর্গত এলাকার মানুষজন দুর্ভোগের পাশাপাশি উদ্বেগ উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়েই দিন কাটাচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে চিলমারী ইউনিয়নে বন্যা কবলিতদের মাঝে সরকারিভাবে চাল বিতরণ করা হয়েছে। এবারের বন্যায় এই ইউনিয়নটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) দৌলতপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চিলমারী ইউনিয়নে বন্যা কবলিতদের মাঝে ১১ মেট্রিক টন সরকারি চাল বিতরণ করা হয়। বেলা ১১টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল জব্বার উপস্থিত থেকে এই চাল বিতরণ করেন। প্রাথমিকভাবে ১ হাজার ১০০ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল দেয়া হয়। এ সময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আব্দুল হান্নান, চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান উপস্থিত ছিলেন।

বিশেষ বরাদ্দের এই চাল বিতরণ করতে গিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল জব্বার বন্যাকবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে সার্বিক পরিস্থিতি সস্পর্কে খোঁজখবর নেন।

কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, সর্বশেষ এক সপ্তাহে পদ্মায় পানি বেড়েছে প্রায় ১২০ সেন্টিমিটার। হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে বিপৎসীমা ১৪ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার। বুধবার শূন্য দশমিক দুই সেন্টিমিটার পানি কমেছে। এদিন হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টের ১৩ দশমিক ২৮ সেন্টিমিটার নিচ পর্যন্ত পানির প্রবাহ ছিল। এই হিসাবে বর্তমানে বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৯৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

তবে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পদ্মার পানি প্রবাহ বিপৎসীমা থেকে কিছুটা কমে গেলেও দৌলতপুর উপজেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতিতে এর কোনো প্রভাব পড়েনি বলে সংশ্লিষ্ট এলাকার লোকজন জানিয়েছেন। ভারতের ফারাক্কার প্রভাবে এবং রাজশাহীর বাঘা অঞ্চল থেকে চিলমারী ইউনিয়নে বন্যার পানি প্রবেশ করায় এখানে পানি কমার প্রভাব দেখা যাচ্ছে না বলেও তারা মনে করছেন। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি নাকি আরো অবনতি ঘটবে তা আগামী কয়েকটা দিন পরেই স্পষ্ট হয়ে উঠবে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আব্দুল হান্নান বলেন, ‘আমরা বন্যা কবলিত এলাকা ঘুরে যে চিত্র দেখেছি, তাতে এখনো পরিস্থিতি ভয়াবহ পর্যায়ে যায়নি। একটি বিশেষ বরাদ্দ থেকে বুধবার প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ১১শ পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল দেয়া হয়েছে। আর রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের তালিকা হাতে পাওয়ার পর আমরা সেখানকার বরাদ্দের বিষয়টি চূড়ান্ত করবো।’

সেপ্টেম্বর ০৭,২০২২ at ২১:২৮:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ /আক /এস আর /শই