ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ কর্তৃক নিরাপদ পানি গবেষণার ফলাফল প্রকাশ

ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ সিলেট জেলার স্থানীয় বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী নিরাপদ পানির অ্যাক্সেসের উন্নতির জন্য প্রকল্পের আওতায় সিলেট ও গোয়াইনঘাট এলাকায় নিরাপদ পানি উপর একটি গবেষণা প্রকল্প পরিচালনা করে।

গবেষণাটি জাপানের ইয়োকোগাওয়া ইলেকট্রিক কর্পোরেশনের অর্থায়নে করা হয়েছিল। গবেষণা ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ঢাকায় জাতীয় পর্যায়ে একটি গবেষণা ফলাফল শেয়ারিং সভার আয়োজন করে।

ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের সিনিয়র ডিরেক্টর (অপারেশনস অ্যান্ড প্রোগ্রাম কোয়ালিটি) চন্দন জেড গোমস এই সভায় সভাপতিত্ব করেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (পরিকল্পনা) প্রকৌশলী তুষার মোহন সাধু খান এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনিসেফের ওয়াশ বিশেষজ্ঞ মো. শফিকুল আলম এবং জাইকার হাইড্রোজোলজিস্ট (পানি সম্পদ পরিকল্পনা) সুয়েনাগাকাজুউকি।

এছাড়াও জাইকার প্রতিনিধি মিঃ ফুশিমিহিদাকি, প্রজেক্টকো -অর্ডিনেটর-ওয়াটার কোয়ালিটি, মিঃ কাওয়াগুতি টোকুয়াকি, হাইড্রোলজি এক্সপার্ট (সারফেস ওয়াটার) এবং অন্যান্য এনজিও প্রতিনিধিগণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। উক্ত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের ফিল্ড প্রোগ্রাম অপারেশনস,

আরবান অ্যান্ড রুরাল ক্লাস্টারের উপ-পরিচালক মঞ্জু মারিয়া পালমা। বৈঠকে অনলাইনের মাধ্যমে ওয়ার্ল্ড ভিশন জাপানের সিনিয়র প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মেগু মিনিশিজিমা ও উপস্থিত ছিলেন। সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সেন্টার ফর রিসার্চ, টেস্টিং অ্যান্ড কনসালটেন্সি (সিআরটিসি) এই গবেষণাটি পরিচালনা করেছে। গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন রিসার্চ টিম লিডার প্রফেসর ড. বিজিত কুমার বণিক।

প্রধান অতিথি বলেন, বাংলাদেশের অন্যান্য অংশের বিবেচনায় সিলেট জেলায় পানীয় জলের সুবিধার পরিস্থিতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ফলাফল গবেষণা এলাকায় বিদ্যমান প্রযুক্তির গ্রহণযোগ্যতা এবং দক্ষতা বোঝার জন্য একটি নতুন উন্মোচন করবে এবং আরও গবেষণার সুযোগ তৈরি করবে।

তিনি এই গবেষণার জন্য ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ, ওয়ার্ল্ড ভিশন জাপান এবং দাতা ইয়োকো গাওয়া ইলেকট্রিক কর্পোরেশন, জাপান এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিআরটিসি কে ধন্যবাদ জানান। বিশেষ অতিথি মো: শফিকুল ইসলাম বলেন, এটি একটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ গবেষণা এবং নিরাপদ পানীয় জল নিশ্চিত করতে কাজ করা অন্যান্য সংস্থাকে সহায়তা করবে।

সভার সভাপতি চন্দন জেড. গোমেস বলেন, প্রতিটি শিশুর জন্য আমাদের দৃষ্টি ভঙ্গি হলো তার জীবনের পূর্ণতা; প্রতিটি হৃদয়ের জন্য আমাদের প্রার্থনা, আমাদের ইচ্ছা সেই পূর্ণতা দেওয়া। ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ দরিদ্র বিশেষ করে অরক্ষিত শিশুদের জন্য প্রতিশ্রুতি বদ্ধ।

ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় নিরাপদ পানি নিশ্চিত করতে তিনি সরকারি সংস্থা ও অন্যান্য সাহায্য সংস্থাকে একত্রে কাজ করার অনুরোধ জানান। তিনি আরও বলেন, নিরাপদ পানির প্রবেশাধিকারের বিদ্যমান সংকট বোঝার জন্য ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের এটি একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস। ওয়ার্ল্ড ভিশন জাপানের মেগুমিনিশিজিমা এবং জাইকার প্রতিনিধি মিঃ সুয়েনাগাকাজুউকি অনুষ্ঠানে তাদের বক্তব্য রাখেন।

সেপ্টেম্বর ০৫,২০২২ at ১৭:০১:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ /আক /রব /শই