বঙ্গবন্ধুর খুনিদের প্রটেকশনের আইন ও পুরস্কৃত করেছিল জিয়া: সাবেক এমপি অ্যাড. মনির

যশোর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মনিরুল ইসলাম মনির বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হৃদয়বিদারক ঘটনা বাঙালি জাতির ললাটে কালিমা লেপন করেছে।

যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি, তারা রাতের অন্ধকারে আমাদের স্বপ্নদ্রষ্টাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। বঙ্গবন্ধুর খুনের পরিকল্পনা, ষড়যন্ত্র করে খুনিদের পাঠিয়ে দেওয়াসহ খুনিদের প্রটেকশনের আইনও করেছিলেন জিয়াউর রহমান।

জিয়াউর রহমান খুনিদেরকে ৯টি হাই-কমিশনে বিভিন্ন জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করেছিল আর তাদের কেউ কেউ মারা যাওয়ার পরেও তাদের প্রমোশন দিয়ে আর্থিক সুবিধা দিয়েছেন খালেদা জিয়া। এভাবেই বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড এবং খুনিদের পুর্নবাসন প্রক্রিয়ায় জিয়া, মোস্তাক, সায়েম, এরশাদ ও খালেদা জিয়া সবাই সম্পৃক্ত হয়ে পড়ল।

আরো পড়ুন :
তুচ্ছ ঘটনায় কোটচাঁদপুরে প্রতিবন্ধী নারীকে পিটিয়ে জখম

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার নাভারণ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড (দেউলী-কলাগাছি) আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের এই সাবেক সংসদ সদস্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদের সবাইকে মিলে তার হাতকে শক্তিশালী করে দেশের কল্যাণে কাজ করতে হবে। তিনি বিএনপিকে হুশিয়ারী করে বলেন, আন্দোলনের নামে দেশে সেই পুরোনো কায়দায় নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চাইলে, বঙ্গবন্ধুর আর্দশের প্রতিটি সৈনিক এ নৈরাজ্য বিরুদ্ধে প্রতিরোধে গড়ে তুলবে।

মঙ্গলবার বিকালে স্থানীয় উত্তর দেউলী আমতলা বাজারে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোমিনের সভাপতিত্বে এবং সাবেক ছাত্রনেতা আবু সাঈদ মিলনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মুকুল,

সাধারণ সম্পাদক মুছা মাহমুদ, মুক্তিযোদ্ধাকালীন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ, সাবেক ছাত্রনেতা ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য মাজহারুল ইসলাম প্রিন্স, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মীর বাবরজান বরন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবুল কাশেম, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড. আবু হাসান,

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য ইকবাল আহমেদ রবি, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাজান আলী, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রব, মুক্তিযোদ্ধা ইয়াকুব সরদার, আক্তারুজ্জামান আক্তার, শাহ আলম মিন্টু, এনামুল হক মণি, সাবেক পৌর কাউন্সিলর নিমাই ঘোষ, উপজেলা যুবলীগের সদস্য আলমগীর বাশার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ন আহবায়ক শামসুজ্জোহা লোটাস,

পৌর যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক মুনিরুল আলম মিশর, নাভারণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফজলুর রহমান, হাফিজুর রহমান মুকুল, প্রচার সম্পাদক শেখ আব্দুল মাজেদ, গদখালী ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক লিন্টু বিশ্বাস,

যুগ্ন-আহবায়ক আলমগীর হোসেন, মনিরুজ্জামান মনির, শাহিন আহমেদ, নাভারন ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক পলাশ হোসেন, যুগ্ন আহবায়ক উজ্জল হোসেন, যুবলীগ নেতা রাজন হোসেন, হাসানুর ফয়েজ মজনু, ছাত্রনেতা তানভির রাব্বি, স্বদেশ রেজা প্রমুখ।

সন্ধ্যার পরে উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। স্থানীয় পাল্লা বাজারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মাস্টার আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

আগস্ট ৩০,২০২২ at ২০:৩৯:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ /আক /আম /শই