দুদকের মামলায় সাবেক এমপি বাচ্চু মোল্লা খালাস

বেকসুর খালাস পাওয়ার পর আদালত থেকে বেরিয়ে আসছেন বিএনপি নেতা রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা।

কুষ্টিয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদকের দায়ের করা মামলায় কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা বেকসুর খালাস পেয়েছেন। পরে তিনি শোডাউন নিয়ে কুষ্টিয়ার আদালত থেকে দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়ায় নিজ বাড়িতে আসেন।

সোমবার (২৯ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আশরাফুল ইসলাম দুদকের দায়ের করা ত্রাণের টিন আত্মসাত মামলায় বিএনপি নেতা রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লাকে বেকসুর খালাস দেন। এই রায় ঘোষণার সময় বাচ্চু মোল্লা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সস্পাদক, সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আদালত চত্বরে অবস্থান করেন।

জানা গেছে, ২০০৭ সালে দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে সরকারি বরাদ্দের টিন উদ্ধার করা হয়। পরে ওই টিন আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত কার্যালয়, কুষ্টিয়ার পক্ষ থেকে সাবেক এমপি রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লার নামে মামলা দায়ের করা হয়। গত ১৫ বছরে দীর্ঘ স্বাক্ষ্য গ্রহণ ও শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বিশেষ আদালতের বিচারক মো. আশরাফুল ইসলাম বিএনপি নেতা রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লাকে বেকসুর খালাসের রায় দেন।

এদিকে আদালতের রায়ে খালাস পাওয়া বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লাকে গলায় ফুলের মালা পরিয়ে শোডাউন করে কুষ্টিয়ার আদালত থেকে দৌলতপুরের তারাগুনিয়ায় নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন দলীয় নেতাকর্মীরা। এ সময় নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। বাড়ি ফিরে বাচ্চু মোল্লা প্রথমেই তার মায়ের পা ছুঁয়ে সালাম করেন। মা ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে আশির্বাদ করেন। এ সময় পরিবারের সদস্যদের মধ্যে এক আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা জানান, তারাগুনিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বর্ধিত ক্লাসরুম নির্মাণের জন্য সরকারি বরাদ্দের ওই টিন বিদ্যালয়ে এনে রাখা হয়েছিল। কিছুদিনের মধ্যেই নির্মাণ কাজ শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু সস্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশে তার বিরুদ্ধে টিন আত্মসাতের মিথ্যা মামলাটি দায়ের করা হয়।

এই আসন থেকে চারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য, জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক প্রতিমন্ত্রী প্রয়াত আহসানুল হক পচা মোল্লার জ্যেষ্ঠপুত্র রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে দায়ের করা বেশ কয়েকটি মামলার একটি ছিল দুদকের এই মামলা। আদালতে যেসব মামলা এখনো বিচারাধীন রয়েছে তার সবগুলোই মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা। রাজনৈতিক উদ্দেশে আমাকে এবং আমার দলীয় নেতাকর্মীদের এসব মামলায় জড়ানো হয়েছে।’

আগস্ট ২৯,২০২২ at ২২:০১:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ /আক /এসআর /শই