বঙ্গবন্ধুর হত্যার নেপথ্য নায়কদের মুখোশ উন্মোচিত হওয়া দরকার: সাবেক এমপি অ্যাড. মনির

যশোর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মনিরুল ইসলাম মনির বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার নেপথ্য নায়কদের মুখোশ উন্মোচিত হওয়া দরকার। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হবে না, সেটি আইন করে বন্ধ করেছেন জিয়াউর রহমান।

আর খুনিদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা ও আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছেন জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়া। বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ইনডেমনিটি অ্যাক্ট বাতিল করে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার কার্যক্রম শুরু করেন।

২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসে বিচারের কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করেনি। বরং তারা বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড ও বোমা হামলা করে হত্যার চেষ্টা করেছে।যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া ও হাজিরবাগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন :
পরিবারের ১৩ জন চাকুরি পেলেও অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন কাজিপুরের এক আ.লীগ নেতা

আওয়ামী লীগের এই সাবেক সংসদ সদস্য বলেন, বঙ্গবন্ধুকে দৈহিকভাবে হত্যা করা হলেও তার মৃত্যু নেই। তিনি চিরঞ্জীব। কেননা একটি জাতিরাষ্ট্রের স্বপ্নদ্রষ্টা এবং স্থপতি। যতদিন এ রাষ্ট্র থাকবে, ততদিন তিনি অমর। মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত অপশক্তির ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি। পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে তারা একের পর এক চক্রান্তের ফাঁদ পেতে চলেছে।

রোববার বিকালে স্থানীয় বাঁকড়া জে.কে মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল করিমের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবুল কাশেমের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মুকুল, ঝিকরগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুছা মাহমুদ, মুক্তিযোদ্ধাকালীন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ, মুক্তিযোদ্ধাকালীন ফিল্ড কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার, সাবেক ছাত্রনেতা ও জেলা আওয়ামী লীগ মাজহারুল ইসলাম প্রিন্স।

সম্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, হাজিরবাগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তফা আসাদুজ্জামান, জেলা কৃষকলীগ নেতা আকবর হোসেন জাপানী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাস্টার এনামুল কবীর, হাজিরবাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিন্টু, বাঁকড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাস্টার হেলালউদ্দীন খান, হাজিরবাগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রহমান। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন,

ঝিকরগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাজান আলী, আক্তারুজ্জামান আক্তার, এনাহক হক মনি, লিয়াকত আলী, জেলা পরিষদের সদস্য ইকবাল আহমেদ রবি,, নির্বাসখোলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বদরউদ্দীন বেল্টু, হাজিরবাগ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন, শংকরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মাস্টার আদম শফিউল্লাহ, প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেন,

সাবেক কমিশনার শরিফুল ইসলাম, নিমাই চন্দ্র, বাঁকড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাশেম আলী মোড়ল, হাজিরবাগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্নসম্পাদক ইউপি সদস্য আতিয়ার রহমান, নির্বাসখোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আলমগীর হোসেন,

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ন আহবায়ক শামসুজ্জোহা লোটাস, আওয়ামী লীগ নেতা রবিউল ইসলাম, গোলাম মোস্তফা, খাইরুল ইসলাম, ইউপি রেজাউল করিম, এরশাদ আলী, শিপন হোসেন, যুবলীগ নেতা ফারুক হোসেন, রকিবুল হাসান মিন্টু, আসাদুজ্জামান, নুরুল হক গাজী, হাদিউজ্জামান নয়ন, স্কুল শিক্ষার্থী লিয়া সিনথিয়া প্রমুখ।

আগস্ট ২৮,২০২২ at ২১:১২:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ /আক /আম /শই