পরিবারের ১৩ জন চাকুরি পেলেও অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন কাজিপুরের এক আ.লীগ নেতা

কাজিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ এবং উপজেলা আ.লীগের নানা পদে বিভিন্ন সময়ে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন মো. হবিবর রহমান হবি। একারণে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিম হবির পরিবারে ও নিকটাত্মীয়দের মধ্যে ১২ জনকে বিভিন্ন পদে সরকারি চাকুরি দিয়েছেন।

এরপরেও হবিবুর রহমান হবির চাহিদা মোতাবেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুত্রবধূর চাকরি না হওয়ায় সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও বক্তব্যে অসত্য তথ্য প্রচার ও উপজেলা আ.লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে বিভ্রান্তিকর তথ্য তুলে ধরেছেন।

এ কারণে শনিবার দুপুরে এ বিষয়ে উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কাজিপুর উপজেলা চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সিরাজী এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। এবং এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফিরোজ মিয়া।

আরো পড়ুন :
নড়াইলে নবাগত পুলিশ সুপারের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা

তারা উল্লেখ করেন, গত বছর নিয়ম মেনে কাজিপুর থানা সদর কলেজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে পরীক্ষার মাধ্যমে সেখানে চারটি পদে নিয়োগ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

যোগ্যতা অনুযায়ী ওই কলেজের অফিস সহকারি পদে ফিরোজ মিয়া, ল্যাব সহকারি রসায়ন পদে কাজিপুর পৌর আ.লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের পুত্র কায়ছারুল ইসলাম শাকিল, ল্যাব সহকারি পদার্থ পদে কাজিপুর পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড আ.লীগের সাধারণ সম্পাদকের কন্যা জুলেখা খাতুন ও আয়া পদে উপজেলা আ.লীগের সদস্য শফিকুল ইসলাম মিস্ত্রির পুত্রবধু রিপা খাতুন নিয়োগ পেয়েছেন।

কিন্তু অফিস সহকারি পদে হবিবর রহমান হবি নিয়ম ভেঙ্গে তার পুত্রবধুকে নিয়োগ দেবার জন্য কর্তৃপক্ষকে চাপ দেন। সফল হতে না পেরে জাতীয় সংসদ সদস্য প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়, উপজেলা আ,লীগের সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান সিরাজী ও ওই কলেজের অধ্যক্ষ মনোজ কুমারকে জড়িয়ে মিথ্যে বক্তব্য দেন হবিবর রহমান।

সেখানে তিনি ওই কলেজের অফিস সহকারি পদে নিয়োগপ্রাপ্ত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফিরোজ মিয়াকে ছাত্রদলের নেতা বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি দাবী করেছেন ওই নিয়োগে অনৈতিক লেনেদেন হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি সম্পুর্ণ মিথ্যে এবং বানোয়াট বলে উল্লেখ করেন তারা।

ফিরোজ মিয়া তার লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, আমি জন্মলগ্ন থেকেই পরিবারসহ মুজির আদর্শের সৈনিক। সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের হিরক- শামীর কমিটির সদস্য, সাদী- বাবু কমিটির পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞাপন বিভাগ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলাম।

অথচ দুঃখজনকভাবে আমাকে অন্যদলের নেতা বলে চালিয়ে দেবার অপচেষ্টা করছেন হবিবর রহমান।এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।

কলেজের অধ্যক্ষ মোনজ কুমার জানান, নিয়ম মেনে পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্যতা অনুযায়ী চাকুরি দেয়া হয়েছে। এখানে নিয়মের কোন ব্যত্যয় ঘটেনি। সুতরাং এ বিষয়ে না জেনে অপপ্রচার চালানো উচিত নয়।

কাজিপুর উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান সিরাজী বলেন, যে পরিবারের ১২ জনকে নেতা বিভিন্ন সময়ে চাকুরি দিয়েছেন সেই পরিবারের প্রধান হিসেবে তার(হবিবুর রহমান) এমন বক্তব্য মিথ্যের বেসাতি ছাড়া আর কিছুই নয়। প্রয়াত নেতা মোহাম্মদ নাসিম তার পরিবারের সদস্যদের যোগ্যতা অনুযায়ী পুলিশ, ডাকবিভাগ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ নানা পদে চাকুরি দিয়েছেন।

এমনকি যে কলেজের নিয়োগ নিয়ে কথা তুলেছেন সেখানে তার আপন ভাইয়ের বউ সহকারি লাইব্রেরিয়ান পদে কর্মরত আছেন। শুধু শুধু মিথ্যা কথা ছড়িয়ে দলের ভামমূর্তি ক্ষুন্ন করছেন তিনি। এই অপপ্রচার করা থেকে তাকে নিবৃত থাকার আহবান জানাই।

আগস্ট ২৮,২০২২ at ২০:৫৭:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ /আক /দেপ /শই