যশোরে বিএনপি নেতা অমিতের গাড়ি ও বাড়িসহ দলীয় কার্যলয় ভাঙচুর

যশোরে জেলা বিএনপি কার্যালয় এবং সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা তরিকুল ইসলামের ছেলে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের গাড়ি ভাঙচুর ও বাড়িতে হামলা করা হয়েছে। যশোর যুবলীগ ও ছাত্রলীগের একাংশের মিছিল থেকে এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। রবিবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে শহরে এ হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও বিএনপি সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, যশোর সদর উপজেলার রূপদিয়া বাজারে সহিংসতার ঘটনায় গ্রেফতার ২৮ নেতাকর্মীকে বিকেলে আদালতে হাজির করা হয়। বিকেল ৩টার দিকে আদালতে নেতাকর্মীদের দেখতে যান বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। এ সময় পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয়।

পরে আদালত থেকে ফেরার পথে শহরের প্রাণকেন্দ্র দড়াটানায় তিনি হামলার শিকার হন। ছাত্রলীগ ও যুবলীগের একাংশের মিছিল থেকে তার গাড়িতে হামলা করা হয়। লাঠিসোটা ও লোহার রডের হামলার মুখে চালক গাড়ি চালিয়ে বেরিয়ে যান। পরে অমিতের বাড়িতে হামলা করা হয়। এরপর ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন।

বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সেখান থেকে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটির নেতৃত্ব দেন জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ মেহেদি হাসান, প্রচার সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর জাহিদ হোসেন মিলন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শাহজাহান কবির শিপলু।

মিছিলটি শহরের লালদীঘি পাড়ের জেলা বিএনপি কার্যালয়ে গিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও তাণ্ডব চালায়। এ সময় কার্যালয়ের ভেতরের চেয়ার, টেবিল, ব্যানার ফেস্টুন ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়।

ঘটনার পর বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, আদালত থেকে ফেরার পথে তার গাড়িতে হামলা করা হয়েছে। এরপর তারা পার্টি অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর করেন। আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের হাতে কেউ নিরাপদ নন।

তবে হামলা-ভাঙচুরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল।

তিনি বলেন, তারা কোনো হামলা করেননি। অমিতের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে তারা রাজপথে অবস্থান করছেন।

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা নারকীয় তাণ্ডব চালিয়েছে। রাজনৈতিক দলের পবিত্র স্থান দলীয় কার্যালয়। সেটিও তাণ্ডব থেকে রক্ষা পায়নি।

এ বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, কয়েকটি স্থানে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। তবে কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।