দুমকিতে জোড়পূর্বক কৃষক পরিবারের জমি দখলের অভিযোগ!

পটুয়াখালীর দুমকিতে এক দরিদ্র কৃষক পরিবারের চাষাবাদকৃত রেকর্ডিও সম্পত্তি জোড়পূর্বক দখল করে নিয়েছে প্রতিপক্ষের লাঠিয়াল বাহিনীর সদস্যরা।

থানা পুলিশ ম্যানেজ ও স্থানীয় জনৈক ছাত্রনেতার প্রত্যক্ষ মদদে প্রকাশ্য দিবালোকে ওই দরিদ্র কৃষক পরিবারের লোকজনকে মারপিট করে তাদের রোপা আমনের ক্ষেত দখল করে নিয়েছে। শুক্রবার (২৬ আগস্ট) প্রেসক্লাব, দুমকির হলরুমে আয়োজিত জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী কৃষক পরিবারের পক্ষে উপজেলার চরবয়েড়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত হোচেন শরীফের ছেলে মো: কামাল শরীফ এসব অভিযোগ করেছেন।

লিখিত বক্তব্যে মো. কামাল শরীফ, অভিযোগ করেন, রাজাখালী মৌজার জেএল নং ২৬, সিএস২১৯, আরএস-৪৯৯ ও এসএ-৪৮, ৪১৩ ও ৭২৯ খতিয়ানের মোট ৮একর ৬৮শতাংশ জমির রেকর্ডিও অংশিদার হিসেবে তারা (অংশিদারগণ) ভোগ দখল করে আসছেন।

আরো পড়ুন: নড়াইলে শিশুদের দীর্ঘ ১শ ফুট চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা

কিন্ত একই বাড়ির বাসিন্দা প্রতিপক্ষ মৃত-কালু শরীফের ছেলে মগবুল শরীফ ও ইউসুফ শরীফ গংরা অঢেল অর্থ-বিত্ত আর পেশী শক্তির জোড় খাটিয়ে বে-আইনী জনতাবদ্ধে জবর-দখল করেছে। শালিস ব্যবস্থা ও আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে গায়ের জোড়ে প্রভাশালী একজন ছাত্রলীগ নেতার যোগসাজসে থানা পুলিশের প্রছন্ন সহায়তায় গত ২২ আগস্ট অর্ধশতাধিক ভাড়াটে লাঠিয়াল বাহিনী হামলা চালিয়ে আমাদের রোপনকৃত আমন ক্ষেতে ট্রাক্টর মেশিন দিয়ে ফের চাষাবাদ করে দখলে নিয়েছে।

এর আগেও একাধিকবার হামলা-মারধর ও মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে পুলিশি হয়রানীও করেছে বলে অভিযোগ করেন। তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, ইতোপূর্বে বেশ কয়েক দফায় বিরোধীয় সম্পত্তির ভাগবন্টন নিয়ে থানার গোলঘর ও এলাকায় শালিস মিমাংসা, জমির মাপ-জোক ও রোয়েদাদ সত্ত্বেও তারা সিদ্ধান্ত না মেনে গায়ের জোড়ে আমাদের সম্পত্তি জবর-দখলে চেষ্টা চালাচ্ছে।

আরো পড়ুন:
শিশুর মোবাইল-টিভির নেশা কাটাবেন কিভাবে জেনে নিন
প্রতি লিটারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়লো ৭ টাকা

পুলিশ ম্যানেজ প্রশ্নের জবাবে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, আমার দেয়া অভিযোগের কোন আইনী ব্যবস্থা না নিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা দুমকি থানার এসআই আলী হোসেন উল্টো প্রতিপক্ষের টাকা খেয়ে আমাদের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন দিয়েছে। জমি দখলে জড়িত ছাত্রলীগনেতার নাম জানতে চাইলে হামলা সহিংসতার আশংকায় তিনি নাম প্রকাশে অনিহা প্রকাশ করেছেন।

এবিষয়ে প্রতিপক্ষের অভিযুক্ত দখলার মকবুল শরীফ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাদের আংশিক রেকর্ডিও এবং খরিদকৃত জমি চাষাবাদ করেছি, জোড়-দখলের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। কামাল শরীফের দেয়া অভিযোগের তদন্তকারি কর্মকতা-দুমকি থানার এসআই মো. আলী হোসেন ঘুষের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি বহুবার শালিস নিস্পত্তির চেষ্টা করেছি, কিন্তু পক্ষদ্বয়ের অসহযোগিতার কারনে সম্ভব হয়নি।

আগষ্ট ২৬,২০২২ at ১৬:২৩ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/জউ/এসএম