মদনে স্কুলছাত্রীকে একা পেয়ে শ্লীলতাহানি; যুবক গ্রেফতার

নেত্রকোনার মদনে এক সপ্তম শ্রেনির ছাত্রীকে একা পেয়ে ঝাপটে ধরে শ্লীলতাহানি করায় সঞ্জিব নমদাস (২৪) নামের যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের দশআশি গ্রামে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

অভিযুক্ত সঞ্জিব নমদাস ওই গ্রামের সন্তোস নমদাসের ছেলে। এর আগে বুধবার (২৪ আগস্ট) সকালে দশআশি গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী ও অভিযুক্ত সঞ্জিব নমদাস একই এলাকার বাসিন্দা। ওই স্কুলছাত্রীটি প্রাইভেট পড়ার জন্য বুধবার সকালে নিজ বাড়ি থেকে বের হয়। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে যেতেই বখাটে সঞ্জিব ওই মেয়েটিকে ঝাপটে শ্লীলতাহানি করে। এ সময় মেয়েটির ডাক-চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সঞ্জিব পালিয়ে যায়। ঘটনাটি কাউকে না জানাতে বখাটে সঞ্জিব স্কুল ছাত্রী ও তার পরিবারকে উল্টো হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।

স্কুলছাত্রীর বাবা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট বিচার প্রার্থী হলে বৃহস্পতিবার শালিসী বৈঠকের আয়োজন করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু অভিযুক্ত সঞ্জিব নমদাস ঘটনার পর থেকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে থানায় মামলা করেন। এরই প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত সঞ্জিব নমদাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, আমি বুধবার সকালে প্রাইভেট পড়তে বাড়ি থেকে বের হই। সঞ্জিব পেছন থেকে এসে আমাকে কু-প্রস্তাব দিয়ে ঝাপটে ধরে টানা হেছড়া শুরু করে। তখন আমি ডাক-চিৎকার শুরু করি। পরে লোকজন চলে আসলে সঞ্জিব দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। আমি এই ঘটনার সঠিক বিচার চাই।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, মেয়েটি আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। বিচার পাওয়ার জন্য মেয়েটি ও তার পরিবার আমার কাছে আসে। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে জরুরী সভা করেছি। এতে অভিযুক্ত সঞ্জিবকে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু তার পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ আসেনি। পরে আইনি প্রক্রিয়া নেওয়া হয়েছে।

মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাবা দুপুরে থানায় মামলা করেছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত সঞ্জিবকে সন্ধ্যায় গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতকে শুক্রবার নেত্রকোনা আদালতে পাঠানো হবে।