দেশভাগ মুসলিম লীগ নয় কংগ্রেস চেয়েছিলো: সলিমুল্লাহ খান

‘বলা হয়ে থাকে মুসলিম লীগ দেশভাগ চেয়েছে, কিন্তু এটি ঐতিহাসিক সত্য নয়। দেশভাগ মুসলিম লীগ নয় কংগ্রেস চেয়েছিলো। অবিভক্ত বাংলার স্বাধীনতার জন্য লীগ নেতারা একমত হলেও হিন্দু মহাসভার চাপে মহাত্মা গান্ধী দেশভাগে রাজি হয়।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাংলাদেশের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম’ শীর্ষক আলোচনা সভায় দেশভাগের জন্য কংগ্রেস ও হিন্দু মহাসভাকে দায়ী করে এসব কথা বলেন অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান।

আরো পড়ুন :
বীরগঞ্জে সিংড়া জাতীয় উদ্যানে উদ্ধারকৃত লাশের রহস্য উদঘাটন
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের লক্ষে নিবন্ধন কার্যক্রমের উদ্বোধন

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) বিকাল ৩ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের আয়োজনে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের গ্যালারিতে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘ভারতীয় গভর্নর জেনারেল লর্ড মাউন্টব্যাটনের পাকিস্তান প্রস্তাব দুইবার প্রত্যাখান করেন মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ। একবার ১৯৪৪ সালে আরেকবার ১৯৪৬। জিন্নাহ মনে করেছিলেন, পাকিস্তান প্রস্তাব লাভজনক নয়। পরে ১৯৪৭ সালে মাউনব্যাটেনের জোরাজুরির কারণে পাকিস্তান প্রস্তাবে নিরুপায় জিন্নাহ সম্মত হয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘হিন্দু মুসলিম ঐক্য ছাড়া বাংলাকে টিকিয়ে রাখা যাবে না বলে মনে করতেন এদেশের আবুল হাশেম, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মতো নেতারা। কিন্তু মুসলিমদের জন্য আলাদা জাতি গঠন করলে বাংলা ভাগ করা অপরিহার্য ছিলো। এটাই জিন্নাহকে দুবার সতর্ক করেছিল এদেশের নেতারা।’

তিনি আরও যুক্ত করেন, ‘ভারতে যেটা শোকের ঘটনা, পাকিস্তানের জন্য সেটি উল্লাসের আর বাংলাদেশে সেটা নীরবতার ঘটনা। অসমাপ্ত আত্মজীবনী বের হওয়ার পর কলকাতা দাঙ্গা নিয়ে আলোচনার সাহস পাওয়া গেছে। আত্মজীবনীতে বঙ্গবন্ধু উল্লেখ করেছেন, কলকাতার দাঙ্গায় তিনি নিজে লাঠি হাতে লড়াই করেছেন।’

আলোচনা সভায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক নাসরীন সুলতানা, বিভাগের সাবেক অধ্যাপক নাসিম আখতার হোসাইন ও আব্দুল লতিফ মাসুম, অধ্যাপক শামসুল আলম, অধ্যাপক বশির আহমেদ। সভা সঞ্চালনা করেন বিভাগের শিক্ষক শাকিল আহমেদ।

আগস্ট ২৫,২০২২ at ১৯:০০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ /আক /নর /শই