বীরগঞ্জে সিংড়া জাতীয় উদ্যানে উদ্ধারকৃত লাশের রহস্য উদঘাটন

গত ১৫ই আগষ্ট সোমবার বীরগঞ্জ থানা পুলিশ সিংড়া জাতীয় উদ্যান থেকে একজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে।

ঐ দিন বিকালে নীলফামারী সদর থানাধীন চক দুবলিয়া হতে ভিকটিমের বড় ভাই উক্ত লাশ তার ছোট ভাই অবিনাশ রায়ের(২৭)বলে সনাক্ত করে এবং অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। গত ২৩ আগষ্ট রাতে বীরগঞ্জ থানা পুলিশ খানসামা থানার পাকের হাট হতে সন্দেহ ভাজন দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে জিঙ্গাসাবাদ কালে ব্যক্তিদয় আলোচ্য হত্যার দায় স্বীকার করে।

বীরগঞ্জ থানায় প্রেস ব্রিফিং কালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. খোদাদাদ হোসেন জানান, গ্রেফতার কৃতব্যক্তিরা হলেন শিশির চন্দ্র (১৯),পিতা সাগর চন্দ্র, সাং যতরঘু,থানা চিরির বন্দর, মো. রাশেদুল উসলাম রাশেদ (২২),পিতা ইশাহাক, সাং আঙ্গার পাড়া, থানা-খানসামা, জেলা দিনাজপুর।

আরো পড়ুন :
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের লক্ষে নিবন্ধন কার্যক্রমের উদ্বোধন
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য এবার মেধাবী শিক্ষার্থী কৃষ্ণকে অর্থিক সহয়তা করলেন ওসি- জিয়াউর রহমান

গ্রেফতার কৃতদের জিঙ্গাসাবাদে জানা যায়, ভিকটিম অবিনাশ রায় একজন অসুস্থ সহজ সরল এবং শারিরিক ভাবে দুর্বল অটো চালক তাই আমরা তাকে হত্যা করে ব্যাটারী চালিত অটোটি নেয়ার পরিকল্পনা করি। গত ১০ আগষ্ট সকালে শিশির ভিকটিম অবিনাশের অটোতে করে বরুয়া থেকে পাকের হাট আসে, পুর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রাশেদকে অটোতে উঠিয়ে নেয়।

এরপর অটো যোগে তিন জন বীরগঞ্জ সিংড়া জাতীয় উদ্যানে যায়। সেখানে উদ্যানের ভিতরের রাস্তায় অটো রেখে জঙ্গলের গভীরে গিয়ে পুর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী অবিনাশের গলায় রশি পেচিয়ে চাকু দিয়ে গলায় আঘাত করে হত্যা করে।

লাশ জঙ্গলে ফেলে অটো নিয়ে রানির বন্দর গিয়ে অটোটি বিক্রি করে। তাদের তথ্য অনুযায়ী রানির বন্দর হতে অটোটি উদ্ধার করা হয়। শিশির ও রাশেদ হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।

আগস্ট ২৫,২০২২ at ১৮:৪৭:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ /আক /পদ /শই