ঝাড়ুদার লিয়াকত দুর্নীতি করে হলেন কোটিপতি

যশোরের মণিরামপুর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে জমির শ্রেণী পরিবর্তনের অবৈধ ঘুষ বাণিজ্যের টাকার ছড়াছড়ি এবার লিয়াকত নামে অপর এক মহা দুর্নীতিবাজের সন্ধান পাওয়া গেছে। দুর্নীতির মাধ্যমে ঝাঁড়ুদার পদের এক কর্মচারি এখন কোটিপাতি।। কুড়ে ঘর থেকে তিন তলা আলিশান বাড়ি, নামে বেনামে রয়েছে অসংখ্য জমি।

তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে ১৯৭৩ সালে দৈনিক ৬০ টাকা মুজুরিতে ঝাঁড়ুদার পদে কাজ নেন লিয়াকত আলী। প্রতিদিন সকালে অফিস ঝাঁড়ু দেয়ার পাশাপাশি সাব রেজিস্টারসহ অন্যান্য কর্মচারীদের ম্যানেজ করে লিয়াকত আলী একপর্যায়ে গড়ে তোলেন বিশাল ঘুষ বাণিজ্যের সিন্ডিকেট।

আরো পড়ুন :
শেখ হাসিনার দিল্লি সফরে সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে
এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দল নিয়ে শাকিবের মনোভাব

সূত্র জানায়, ২০১৫ সাল থেকে ১৭ সাল পর্যন্ত তিনদফায় লিয়াকত আলী তার ৫টি দলিলের জমির শ্রেণী পরিবর্তন করে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দেন। ওই ৫টি দলিলের জমির গ্রহিতা তিনি নিজেই। বিষয়টি ফাঁস হয় পড়লে ২০২১ সালের ২৯ ডিসেম্বর জেলা রেজিস্টার শাজাহান সর্দার বিষয়টি তদন্ত করতে মণিরামপুর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে যান।

এ সময় তিনি রাজস্ব ফাঁকি দেয়া টাকা দ্রুত সরকারী কোষাগারে জমা দেয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু প্রায় ৮ মাস পার হলেও ঝাঁড়ুদার লিয়াকত আলী রাজস্ব ফাঁকির টাকা জমা দেননি।

কোনো জমির পর্চা ফটো-কপি হলে এক থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিতে হয় তাকে। প্রতি সপ্তায় জমি রেজিস্ট্রি হয় চার থেকে পাঁচ’শ। আর দলিল প্রতি লিয়াকতকে দিতে হয় পাঁচ’শ টাকা করে। সব মিলিয়ে তার ঘুষ বাণিজ্যে প্রতি মাসে আয় লাখ টাকার উপরে। কিন্তু এসব ব্যাপারে যেন দেখার কেউ নেই।

গতকাল সন্ধ্যায় এ সংবাদ লেখার সময় মনিরামপুর উপজেলা সাব রেজিস্টার পারভেজ খানের সাথে যোগাযোগ করার চেস্টা করা হলে তিনি মোবাইল রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

আগস্ট ২৪,২০২২ at ১২:২৮:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ /আক /দেপ /শই