যশোরের চৌগাছার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানার মানবতায় রক্ষা পেল কোম্পানির সেলসম্যান সবুজ হোসেন (২২)।
জানা গেছে আজ সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা উপজেলার চৌগাছা-যশোর সড়কের নিমতলা এলাকায় একটি চাল মিলে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে চৌগাছায় ফিরছিলেন। এসময় কয়ারপাড়া পৌছুলে ইউএনওর গাড়ির ৫ থেকে ৭ গজ সামনে দ্রুত গতির দুটি আলমসাধু (একটি খালি এবং একটি কোম্পানির চানাচুর, চিপস ইত্যাদি সরবরাহকারি) মুখোমুখি সংঘর্ষের পর কোম্পানির আলমসাধুটি রাস্তার পাশে উল্টে পড়ে। এতে কোম্পানির সেলসম্যানের মাজার উপর দিয়ে একটি গাড়ির চাকা উঠে তিনি মারাত্মক আহত হন।
বিষয়টি দেখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৎক্ষনাৎ নিজের গাড়ি চালক সেলিম রেজাকে গাড়ি থামাতে নির্দেশ দেন এবং গাড়ি চালক সেলিম, তার অফিসের জারিকারক জামির হোসেন ও সাথে থাকা পুলিশ সদস্যদের সহায়তায় নিজের গাড়িতে করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন।
সেখানে ভর্তির পর ছেলেটিকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসকরা। এরপরও দেখা দেয় বিপত্তি। হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সটি অন্য রোগি নিয়ে যশোর থাকায় ইউএও স্থানীয় নোভা এইড বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে অ্যাম্বুলেন্স ঠিক করে হাসপাতালে নিয়ে এসে রোগিকে যশোর পাঠান। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে প্রশংসায় ভাসছেন ইউএনও ইরুফা সুলতানা।
ইউএনওর জারিকারক জামির ও গাড়ি চালক সেলিম বলেন স্যার নির্দেশে দ্রুত তাকে হাসপাতালে না আনলে খুব ক্ষতি হয়ে যেত।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোছাঃ লুৎফুন্নাহার বলেন, রোগিটির পায়ের উপর দিয়ে গাড়ির চাকা চলে যাওয়ায় মারাত্মক আহত হয়েছেন। ইউএনও তাকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে না আনলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যেতে পারতো।
তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে রেফার করা হয়। তখন হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স অন্য রোগি নিয়ে যশোর থাকায় তিনি একটি বেসরকারি হাসপাতালে যেয়ে অ্যাম্বুলেন্সেরও ব্যবস্থা করেছেন। স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ইউএনওর এই কাজকে সাধুবাদ দিয়ে বলেন, আমাদের প্রত্যেকেরই এভাবে মানবিকতা দেখানো উচিৎ।
আগষ্ট ২২,২০২২ at :১৭:১৯ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মই/শই