ঘোড়াঘাটে শিক্ষক মো.আইয়ুব হোসেন ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার নূরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আইয়ুব হোসেন বিদ্যালয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। শিক্ষক মো. আইয়ুব হোসেনের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারীতা, অনিয়ম, দুর্নীতি ও অসদাচারণের সংবাদ অনলাইন পোর্টাল ও পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ায় প্রধান শিক্ষক মোছা. আঞ্জুয়ারা বেগম আলোকে দোষারোপ করে বিদ্যালয় চলাকালে তাকে মারমুখী হয়েছেন তিনি।

আরো পড়ুন :
রূপগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত
সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে আওয়ামী যুবলীগের বিক্ষোভ কর্মসূচি

 

তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ বিভিন্ন হুমকী দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সহ সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম আকাশ জানান, প্রধান শিক্ষক মোছা. আঞ্জুয়ারা বেগম আলো আমাকে বলেন, সহকারী শিক্ষক মো. আইয়ুব হোসেন ২০২০ সালে নূরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যোগদান করেন। এই বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে তিনি সহকারী শিক্ষকের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন না করে তিনি প্রধান শিক্ষকের সাথে ঔধত্ত্যপুর্ন আচরণ, স্বেচ্ছাচারীতা, অনিয়ম, দুর্নীতি ও অসদাচারণ করে আসছেন। ফলে বিদ্যালয়টি অনিয়মের আঁকড়ায় পরিণত হয়।

বিদ্যালয় পচিালনা কমিটি ও প্রধান শিক্ষককে তোয়াক্কা না করে অনিয়ম ও দুর্নীতি করে আসতেছেন। ফলে শিক্ষা কার্যক্রম একে বারেই মুখ থুবড়ে পড়ে। বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়েছে অনেক শিক্ষার্থী। সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগেন অবিভাবকরা। শিক্ষকরা নিয়মিত শ্রেণী কক্ষে শিক্ষার্থীদের পাঠ দান না করে পরিবারের সাথে মোবাইল ফোনে ব্যস্ত থাকেন বলে শিক্ষার্থী ও অবিভাবকরা অভিযোগ করেন। তার বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিতি নেই। তিনি ক্লাসে যান না ঠিকমত। ক্লাসে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদানে মনোযোগি না হয়ে মোবাইল ফোন নিয়ে পরিবারের সাথে কথা বলা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। ক্লাশের সময় ক্লাশ না করে ঘুম পাড়েন।

এ সব অনিয়মে বাধা দেয়ায় তিনি প্রধান শিক্ষকের সাথে বিরুদ্ধাচারণ করছেন। সহকারী শিক্ষক মো. আইয়ুব হোসেন একজন বখাটে টাইপের নারীলুলোপ ব্যক্তি। শিক্ষক আইয়ুব হোসেন ৭ম শ্রেণীর নাবালিকা ছাত্রীকে জোর পুর্বক বিয়ে করেছেন। ৫ম শ্রেণীর ছাত্রীদের সাথে খারাপ আটরণ করেন বলে অনেক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ কারণে ঘোড়াঘাট উপজেলার সুনাম ধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নুরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান দিন দিন নিম্নগামী হচ্ছে ও ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতির হার অনেক কমে যাচ্ছে।

প্রধান শিক্ষকের নির্দেশকে গুরুত্ব না দিয়ে তাদের ইচ্ছা মতো যাওয়া আসা করে থাকেন। নিজেদের ইচ্ছামত চলেন। স্কুল হতে প্রধান শিক্ষকের অনুমতি ছাড়াই বের হয়ে যখন তখন যেখানে সে খানে যান। এ সবের মুলে নাটের গুরু একজন সহকারী শিক্ষক রয়েছেন। তার গোপন পরামর্শে সহকারীরা বিরুদ্ধ আচরন করেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ফিরিয়ে আনতে সহকারী শিক্ষক মো. আইয়ুব হোসেনকে অন্যত্র বদলি করা আশু প্রয়োজন বলে মনে করছেন, শিক্ষার্থী, শিক্ষার্থী অবিভাবক, সুধী, অভিজ্ঞ সচেতন মহল ও পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ।

আগষ্ট ১৭,২০২২ at ১৬:১৩:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মদ/শই