রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানার মানিকদী এলাকার বাসিন্দা। স্ত্রী হনুফা বেগমসহ সেখানেই থাকেন তিনি। তিন ছেলে আবদুল হানিফ, আবদুল হান্নান ও আবদুল মান্নান। পেশায় তারা সবাই ব্যবসায়ী। তাদের স্ত্রীরা শ্বশুর-শাশুড়িকে পছন্দ না করায় অনেক আগেই মেরে বাবা-মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন ছেলেরা। এরপর জয়নাল মিয়া ও হনুফা বেগম উঠেন একটি ভাড়া বাসায়।
জমি বিক্রি করে ৩১ লাখ টাকা নিয়ে বাসায় ঢোকার সময়ই হামলা করা হয়। আমার তিন ছেলে আর তাদের এক সহকর্মীকে নিয়ে চারজন মিলে মেরে আমার পা আর মাথা জখম করে দেয়। প্রায় এক বিঘার মতো জমি ছিল। সন্তানদের লালন পালন করতে করতে পরে যা ছিল তার প্রায় সবই ছেলেদের দিয়েছি। এমন সন্তান থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো। ঘটনার পর কয়েকদিন হাসপাতালে থেকে থানায় গিয়ে মামলা করেন জয়নাল দম্পতি।
এরপর থেকেই গাঢাকা দেয় ছেলেরা। তাদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে ধর্ণা দিতে থাকেন নির্যাতিত বাবা। ঢাকার ডিবি পুলিশের কাছে এমন তথ্য আসার পর টাঙ্গাইল ও গাজীপুরে পালিয়ে থাকা দুই ছেলে হান্নান ও মান্নানকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দারা। কিন্তু এখনো পলাতক প্রধান আসামি বড় ছেলে হানিফ। দুই ছেলেকে আটকের পর বাবার কাছ থেকে ছিনতাই করা ৩১ লাখের মধ্যে ২৯ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বাবা-মার প্রতি সন্তানদের এমন আচরণ দেখে হতবাক কর্মকর্তারা। ডিএমপির ডিবি উপ-কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, ছেলেগুলো বখাটে। তার পাশাপাশি তাদের স্ত্রী ও স্ত্রী পক্ষীয় আত্মীয়-স্বজনরাও লোভী। তাই বাবা-মাকে ভালোবাসা বা ভরণপোষণের পরিবর্তে তারা স্বামীদের উস্কে দিতো তাদের নির্যাতন করার জন্য।
আগষ্ট ১৪,২০২২ at ১০:৫০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ/শই