শৃঙ্খলা ফেরাতে যশোর জেলা যুবলীগের ব্যানার ব্যবহারে বিধি-নিষেধ সভাপতির, জানেন না সম্পাদক

যশোর জেলা যুবলীগের রাজনীতিতে শৃঙ্খলা ফেরাতে যুবলীগের ব্যানার ব্যবহারে বিধিনিষেধ দিয়ে পত্রিকা দপ্তরে সভাপতি স্বাক্ষরিত এক চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে। তবে সংগঠনের জেলা সম্পাদক এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলেছেন।

ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, কেউ চাইলেই জেলা শাখার ব্যানার ব্যবহার করতে পারবেন না। সভাপতি কিংবা সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে কেউ কোনো কর্মসূচি পালন করলে তা জেলা যুবলীগের কর্মসূচি হিসেবে বিবেচিত হবে না। এ সংক্রান্ত সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশ না করারও অনুরোধ করা হয়েছে।

চিঠিতে সংগঠনটির জেলা সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী আরোও উল্লেখ করেছেন, তারা বেশকিছু দিন যাবত লক্ষ্য করছেন কেউ কেউ জেলা যুবলীগের ব্যানার ব্যবহার করে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। সেই সব কর্মসূচির ছবি ও সংবাদ গণমাধ্যমে ছাপা হচ্ছে। এর ফলে যুবলীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। সংগঠনটির কর্মকান্ড প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। জেলা যুবলীগের কর্মসূচিতে সভাপতি অথবা সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতি থাকতে হবে।

এ বিষয়ে মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী বলেন, সভাপতি ও সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে যারা জেলা যুুবলীগের ব্যানারে বিভিন্ন দিবসের কর্মসূচি পালন করছেন। তাদের অনেকে যুবলীগের কোনো পর্যায়ের নেতাকর্মী না। অথচ তারা যুবলীগের নেতা দাবি করছেন। পত্র-পত্রিকায় তা ছাপাও হচ্ছে। এর ফলে সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ হচ্ছে। শৃঙ্খলা ফেরাতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

তবে, যশোর জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার সাবেক মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু বলছেন সভাপতি যে চিঠি দিয়েছেন; বিষয়টি তার জানা নেই।

এ বিষয়ে সাংগঠনিক সম্পাদক মঈন উদ্দীন মিঠু বলেন, দীর্ঘদিন সম্মেলন না হওয়ায় সংগঠনটিতে বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিরাজমান সংকট উত্তরণে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

এবিষয়ে কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক সুব্রত পাল বলেন, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিকে জেলার কর্মসূচি বলা যায় না।

প্রসঙ্গত, যশোর জেলা যুবলীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয় ২০০৩ সালের ১৯ জুলাই। কমিটির মেয়াদ শেষ হয় ২০০৬ সালে। কিন্তু মেয়দ শেষের দেড় দশকেও কমিটি হয়নি। গত বছরের ২৩ জানুয়ারি সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের দিনক্ষণ ধার্য ছিল। সেই সম্মেলনও স্থগিত করে কেন্দ্র।