যশোরে বাবার বিরুদ্ধে দুই মেয়েকে ধর্ষণসহ বিয়ের অভিযোগ

সব সময় কি একটা খাইয়ে দিয়ে আমাকে অচেতন করত। হৃদয় আমার ছোট বোনকেও ধর্ষণ করেছে।

যশোরে দুই সৎ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে ইসমত সাইদ হৃদয় (২৪) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (৮ আগস্ট) মধ্যরাতে ঢাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিকে তাঁকে প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁর স্ত্রী।

আটক হৃদয় বাগেরহাট জেলা সদরের সুন্দর ঘোনা গ্রামের ইমন সাইদের ছেলে। তিনি যশোর সদর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের এক নারীকে বিয়ে করে সেখানেই বসবাস করতেন। ওই নারীর আগের পক্ষের দুই মেয়ে রয়েছে। যাদের ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত হৃদয়।

ভুক্তভোগী কিশোরী অভিযোগ করে বলে, ‘সব সময় কি একটা খাইয়ে দিয়ে আমাকে অচেতন করত।
                             হৃদয় আমার ছোট বোনকেও ধর্ষণ করেছে।

হৃদয়ের স্ত্রী বলেন, ‘আমি খুলনায় প্রজেক্ট ফুডে কাজ করতাম। ওই ফুড কোম্পানির অফিস পিয়ন ছিল ইসমত সাইদ হৃদয়। আমার সঙ্গে তাঁর প্রেম হয়, তারপর বিয়ে। আমার আগের পক্ষের দুটি মেয়ে আছে ১৭ ও ১৫ বছরের। হৃদয় ও মেয়েদের নিয়ে বাহাদুরপুর বাঁশতলায় একটি বাড়িতে বসবাস করি। আর হৃদয় যশোর শহরে ইজিবাইক চালাতো। আমার অজান্তে হৃদয়ের কু-নজর পড়ে আমার আগের ঘরের দুই মেয়ের ওপর।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রায় সময়ই আমার দুই মেয়ের স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দিত। একপর্যায়ে ফাঁদে ফেলে দুই মেয়েকে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করে। আর ধর্ষণের ছবি মোবাইলে তুলে হুমকি দিত কাউকে কোনো কিছু না বলতে। সর্বশেষ আমার বড় মেয়েকে বাধ্য করে তোলা নগ্ন ছবি দেখিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ঢাকায় নিয়ে জোর করে বিয়ে করে। সবকিছু জানতে পেরে পুলিশকে জানালে কোতোয়ালি থানার পুলিশ হৃদয়কে আটক ও মেয়েকে উদ্ধার করে যশোরে নিয়ে আসে। আমি হৃদয়কে প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়ার দাবি জানাই।’

ভুক্তভোগী কিশোরী অভিযোগ করে বলে, ‘সব সময় কি একটা খাইয়ে দিয়ে আমাকে অচেতন করত। হৃদয় আমার ছোট বোনকেও ধর্ষণ করেছে।’

কোতোয়ালি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘এসআই মতিয়ার রহমান ঢাকার বাড্ডা থেকে ইসমত সাইদ হৃদয়কে গ্রেপ্তার করেছে। ভুক্তভোগীকেও উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়েছে।

আগস্ট ১০,২০২২ at ১০:৫০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দৈক/এসএম