মুক্তাগাছার কাশিমপুর ইউনিয়নে ডিলারের বিরুদ্ধে রেশন কার্ড আটকে রাখার অভিযোগ

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলায় ডিলারের কারসাজিতে রেশন কার্ডের চাল না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে কাশিমপুর ইউনিয়নের রেশন কার্ডের ডিলার মো. নাদিম আলীর বিরুদ্ধে। নাদিম আলী মুক্তাগাছা পৌর শহরের মৃত মজিদ আলীর ছেলে।

জানা গেছে উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের সোনারগাঁও গ্রামের বাসিন্দা সোহেলের স্ত্রী নাছিমা বেগম ও আব্দুছ সামাদের স্ত্রী মমতাজ বেগম তিনবার রেশন কার্ডের দশ টাকা দরে চাল উঠাতে পারলেও পরে তাদের কাছ থেকে কৌশলে রেশন কার্ড নিয়ে নেই ডিলার মো.নাদিম আলী। পরে ভূক্তভোগীরা কার্ড চাইতে গেলে, কার্ড না দিয়ে নানান অজুহাতে ঘুরাতে থাকেন ডিলার নাদিম। একসঙ্গে কার্ড করে প্রতিবেশীরা তিনবারের অধিক চাল উঠাতে পারলেও ডিলারের কারসাজিতে চাল উঠাতে না পেরে চলতি বছরের ২৫ জুলাই মাসে প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)বরাবর ডিলার নাদিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ভূক্তভোগী নাছিমা ও মমতাজ বেগম।

এ ধরনের অভিযোগ শুধু নাছিমা বা মমতাজের একার নয়। রেশন কার্ড প্রসঙ্গে সরেজমিনে কাশিমপুর ইউনিয়নে সোনারগাঁও এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে ডিলার নাদিমের বিরুদ্ধে এমন একই ধরনের অভিযোগ করেছেন ওই এলাকার মৃত অনিল রায়ের স্ত্রী শেফালী রায়, জিতু রবি দাসের স্ত্রী আকালী রবি দাস, নুর জাহানের মেয়ে নুরুন্নাহার। এছাড়াও নাম জানাতে অনিচ্ছুক অনেকেই।

ভূক্তভোগীদের অভিযোগ ডিলার কারসাজি করে তাদের রেশন কার্ড আটকে রেখেছেন। গ্রামের অনেকেরই কার্ড নানান অজুহাতে আটকে রেখে, ডিলার সেই কার্ড দিয়ে গোপনে নিজেই চাল উত্তোলন করছেন। অভিযোগ বিষয়ে ডিলার মো.নাদিম আলীর সাথে মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

ভূক্তভোগী নাছিমা ও মমতাজ বেগম বলেন, আমরা উভয়ই কার্ড দিয়ে তিনবার চাল তুলেছি। ডিলার কারসাজি করে আমাদের কার্ড আটকিয়ে রাখছে। প্রতিকার চাইতে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. সাইফুল ইসলামের কাছে গেলে তিনি ডিলারের পক্ষ নিয়ে আমাদেরকে ধমক দিয়ে অফিস থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। ভূক্তভোগীদের ধমক দেওয়া বা অফিস থেকে বের করে দেওয়া প্রসঙ্গে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো.সাইফুল ইসলাম জানান,তাদের কোন প্রকার ধমক দেওয়া কিংবা অফিস থেকে বের করে দেওয়া হয়নি। তাছাড়াও (ইউএনও) স্যারের নির্দেশনায় বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কাশিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন তালুকদার চেয়ারম্যান জানান, রেশন কার্ডধারীরা অনেকেই নিয়মিত মাল পাচ্ছে না, বিষয়টি শুনেছি তবে ঘটনা সত্য হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

অগাস্ট ০৮,২০২২ at ২১:৫৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমএইচশা/রারি