ঘোড়াঘাটে রাত ১০টা থেকেই বন্ধ তেলের পাম্প খোলা দোকানে পেট্রোল ১৩০ টাকা

হঠাৎ করেই দেশে জ্বালানি তেলের বাজারে সৃষ্টি হয়েছে অস্থিরতা। পেট্রোল, অকটেন, ডিজেল ও কিরোসিন তেল লিটারে প্রায় বেড়েছে অর্ধেক দাম । শুক্রবার রাত ১২টায় এ দাম কার্যক্রর হয়।তবে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার তেলের পাম্প গুলো রাত ১০টা থেকেই তেল দেওয়া বন্ধ করে দেয়।

আরো পড়ুন :
মদনে ভ্রাম্যমান আদালতে ছয় প্রতিষ্টানকে জরিমানা
সিলেটের ওসমানীনগরে এনে গণধর্ষণ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেয়েকে

একই সময় অনেক পাম্প মালিক পাম্প বন্ধ করে দেয় এবং ভোক্তাদেরকে জানায়, আজ তেল হবে না। সকালে আসেন। দাম বৃদ্ধিও খবর শুনে পাম্প গুলোতে ভিড় জমায় মোটরসাইকেল সহ ইঞ্জিন চালিত ট্রাক, বাস ও ট্রাক্টর চালকরা।

পরে চালকদের চিল্লাচিল্লির কারণে অবশ্য তেল দেওয়া শুরু করে পাম্প গুলো। তবে সে সময় ১০০ কিংবা ২০০ টাকার বেশি কোন মোটরসাইকেল চালককে পেট্রোল দেওয়া হয়নি। ট্রাক্টর ও ট্রাক সহ ইঞ্জিন চালিত অন্য যানবাহন গুলোতে দেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকার ডিজেল।

এছাড়াও দাম বৃদ্ধিও খবর ছড়িয়ে পড়লে তার কার্যক্রর হবার আগেই এই উপজেলায় রাস্তার পাশে বোতলে পেট্রোল, অকটেন, ডিজেল ও কেরোসিন তেল বিক্রেতারা দোকানীরা তেলের দাম বৃদ্ধি করে দেয়। তারা রাত ১০টার পর থেকেই পেট্রোল প্রতি লিটার ১৩০ টাকা দরে বিক্রি শুরু করে। এ নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় মোটরসাইকেল চালকদের সাথে দোকানিদের বাকবিতন্ডারও সৃষ্টি হয়।

সরে জমিনে ঘুরে দেখা যায়, রাত ১০টার পর থেকেই ঘোড়াঘাট পৌর এলাকার সাধনা ফিলিং স্টেশন, খন্দকার বদরে আরেফিন ফিলিং স্টেশন, ঘোড়াঘাট ফিলিং স্টেশন এবং রানীগঞ্জ বাজারের নওরীন ফিলিং স্টেশনে ৫০ থেকে ৬০টি মোটরসাইকেল পেট্রোল ও অকটেন নেওয়ার জন্য সারিবন্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে আছে। এ সব সাড়িতে আরো নতুন নতুন মোটরসাইকেল এসে যুক্ত হচ্ছে। তাদের সকলের লক্ষ্য মোটরসাইকেলের ট্যাংকি পুর্ন ভর্তি করে তেল নেওয়া।

একই সময় অনেক খুচরা ব্যবসায়ীরা বড় বড় জার নিয়ে ডিজেল ও কেরোসিন নিতে ভিড় করতে দেখা গেছে। অপর দিকে গ্রাহককে তেল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন পাম্পের কর্মচারীরা।

নওরীন ফিলিং স্টেশনে রাত সাড়ে ১০টায় তেল নিতে আসা রুহুল আমিন বলেন, ৫০০ টাকার তেল নেওয়ার জন্য পাম্পে আসলাম। তবে তারা ২০০ টাকার উপরে তেল দিচ্ছে না। কিছুক্ষণ আগে মালিক পাম্প বন্ধ করে রেখেছিল। সে সময় আমি আরো বেশ কছেশ জনকে পাম্প কর্তৃপক্ষ বললো তেল হবে না। কাল সকালে আসেন।

রাত সাড়ে ১১টায় সাধনা ফিলিং স্টেশনে নিজের মোটরসাইকেলে তেল নিতে এসেছেন ঘোড়াঘাট থানার পুলিশ সদস্য মোস্তফা কামাল। তিনি বলেন, দাম বাড়ছে শুনে তেল নিতে আসলাম। এসে দেখি শত শত লোক তেল নেওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে আছে। আমিও লাইনে দাঁড়িয়ে ১ হাজার টাকার তেল নিলাম।

এদিকে ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাফিউল আলম বলেন, রাত ১২টার আগে পাম্প মালিকরা পাম্প বন্ধ রেখেছে কিংবা দাম বেশি নিচ্ছে, এটি আমার জানা নেই। এখনও পর্যন্ত আমার কাছে কোন অভিযোগ আসেনি। নিয়মের বাইরে কোন পাম্প কর্তৃপক্ষ গেলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আগষ্ট ০৬,২০২২ at ১৭:১৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মাউ/শই