সাংবাদিককে হুমকি, জবি ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে জিডি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীকে হুমকি দেয়ায় শাখা ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় সাধারণ ডায়েরী দায়ের করেছেন তিন সাংবাদিক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব।

বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বিকেলে কোতয়ালী থানায় গিয়ে সাধারণ ডায়েরী করেন তিন সাংবাদিক এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব এর সাংবাদিকদের পক্ষে অভিযোগ দায়ের করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আরমান হাসান।ডায়েরীকৃত সাংবাদিকগণ হলেন, বাংলাট্রিবিউন এর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আসসাইফ সুবর্ণ, রাইজিংবিডি এর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মেহেদী হাসান, বাংলাদেশ জার্নাল এর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি অনুপম মল্লিক আদিত্য।

সাধারণ ডায়েরী থেকে জানা যায়, সাংবাদিকগণ তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী এবং সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসাইন এর নির্দেশে তাদের কর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ্যে হুমকি দেয়, কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে এবং দেখে নেয়ার হমকি দেয়।

ইব্রাহিম ফরাজির কর্মী রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আব্দুল বারেক এবং সাধারণ সম্পাদকের কর্মী একই ব্যাচের পরিসংখ্যান বিভাগের মিনুন মাহফুজ এসব কাজে প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিকদের নিরাপত্তা চেয়ে জিডি দায়ের করেন।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক আসসাইফ সুবর্ণ বলেন, ‘আমি একজন গণমাধ্যমকর্মী। পেশাগত দায়িত্ব পালন করায় জবি শাখা ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের মদদে তাদের কর্মীরা সামাজিক মাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও হুমকি প্রদান করে। যা আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করেছে।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক মেহেদী হাসান বলেন, নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করায় হুমকির শিকার হয়েছি। আমাকে ভবিষ্যতে দেখে নেয়ারও হুমকি দেয়। যা আমার পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।ভুক্তভোগী সাংবাদিক অনুপম মল্লিক আদিত্য, জবি ছাত্রলীগের কমিটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হলে আমাকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কর্মীরা।

এবিষয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত হওয়া শাখা ছাত্রলীগ কমিটির সভাপতি মো. ইব্রাহিম ফরাজী বলেন, ‘গতকালের নিউজ সত্য ছিল। তারপরও তারা কেন হুমকি দিয়েছে তা আমি জানিনা। তবে যেহেতু ঘটনাটি ক্যাম্পাসের ভিতরের বিষয় তাই এটি প্রশাসনের মাধ্যমে সমাধান হলে ভালো হয়।’

বিষয়টি নিয়ে জানতে স্থগিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক এসএম আকতার হোসাইনকে বার বার ফোন দেয়া হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘জিডি জমা দিতে বলেছি। আমরা বিষয়টি দেখছি।’এর আগেও অভিযুক্ত মিনুন মাহফুজ সাংবাদিকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছিল। যা পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে মুচলেকা ও ক্ষমা চেয়ে বিষয়টি সমাধান করেন।

আগষ্ট ০৪,২০২২ at ২১:৫৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মই/শই