বাসে গনধর্ষণ ও ডাকাতি প্রধান আসামী রাজা গ্রেফতার

টাঙ্গাইলের মধুপুরে বাসে গনধর্ষণ ও ডাকাতির ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি রাজা মিয়াকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। বৃহস্পতিবার ভোরে টাঙ্গাইল শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। রাজা মিয়ার কালিহাতী উপজেলার হারুন অর রশিদের ছেলে। তিনি টাঙ্গাইল শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।

কোটচাঁদপুরে জাতীয় শোক দিবসের প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত
২য় শিফটে বাজিমাত, ৬ষ্ঠ শিফটেই দুর্দশা

পুলিশ জানায়, মধুপুরে বাসে গনধর্ষণ ও ডাকাতি ঘটনার পর থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান শুরু করে পুলিশ। এরই অংশ হিসাবে বৃহস্পতিবার ভোরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় তাকে তার ভাড়া বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, ঈগল পরিবহনের যে বাসটি ডাকাতের কবলে পড়ে, সেই বাসের চালককে সরিয়ে দিয়ে রাজা চালকের সিট দখল করে। গনধর্ষণ ও ডাকাতি কালিন সময়ে রাজা বাসটি চালাচ্ছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনায় কে কে জড়িত ছিলো রাজা পুলিশকে জানিয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত বাকী আসামীদের গ্রেফতারের জোড় চেষ্ট চলছে বলেও তিনি জানান।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাতে কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা ঈগল পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ২৪ থেকে ২৫ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। গভীর রাতে সিরাজগঞ্জ পৌঁছালে সেখান থেকে একদল ডাকাত যাত্রীবেসে ওই বাসে ওঠে। বাসটি বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর যাত্রীবেশে থাকা ডাকাত দলটি অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের বেঁধে ফেলে। এ সময় দলটি বাসটির নিয়ন্ত্রন নিয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যে যাত্রীদের কাছ থেকে মোবাইল, নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নেয়। এক পর্যায়ে তারা বাসযাত্রী এক নারীকে পালাক্রমে ধর্ষন করে। বাসটি বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে তিন ঘণ্টা নিয়ন্ত্রণে রাখে।

পরে পথ পরিবর্তন করে টাঙ্গাইল ময়মনসিংহ সড়কের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া জামে মসজিদের পাশে বালির স্তুপে বাসটি ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।এ ঘটনায় বাসের যাত্রী হেকমত আলী বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মধুপুর থানায় ধর্ষণ ও ডাকাতির মামলা দায়ের করেন।

আগষ্ট ০৪,২০২২ at ১৬:৩১:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ/শই