ধর্ষণের পর শিশু হত্যা : একব্যক্তির ফাঁসির আদেশ

ছবি: প্রতীকী

যশোরের চৌগাছায় শর্মিলা খাতুনকে (৯) নামে এক শিশুকে ধর্ষণ করে হত্যার মামলায় একমাত্র আসামিকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসাথে তাকে এক রাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম তজিবুর রহমান। বৃহস্পতিবার যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক নীলুফার শিরিন এই রায় দেন।

মৃত্যুদ-প্রাপ্ত তজিবর রহমান জেলার চৌগাছা উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নের ফকিরাবাদ গ্রামে বসবাস করতেন। তার বাড়ি মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বিলধলা রামকৃষ্ণপুরে। পিতার নাম দবির উদ্দিন দরবার আলী।

হত্যার শিকার শর্মিলা খাতুন চৌগাছা উপজেলার ফকিরাবাদ গ্রামের হাফিজুর রহমান কালুর মেয়ে ও হাকিমপুর নূরানী মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২২ জুন সন্ধ্যায় শর্মিলা খাতুন প্রতিবেশী তৈমুর হোসেন খানের আম বাগানে আম কুড়াতে যায়। সন্ধ্যা পার হয়ে গেলেও মেয়ে বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা প্রতিবেশীদের বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। কিন্তু তাকে কোথাও পায়নি। ঘটনার চারদিন পর ২৬ জুন সন্ধ্যায় পরিবারের লোকজন খবর পায়, পাশের হাকিমপুর গ্রামের জামান মৃধার আম বাগানে একটি শিশুর পচাগলা মৃতদেহ পড়ে আছে।

পরে হাসপাতালে শর্মিলা খাতুনের পরিহিত লাল হাফ প্যান্ট, হাত এবং পায়ের পাতা দেখে লাশ শনাক্ত করেন মা-বাবা। এ ঘটনায় নিহত শর্মিলার পিতা হাফিজুর রহমান কালু বাদী হয়ে ২৭ জুন চৌগাছা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

এ মামলায় আটক হন তজিবর। তিনি বাদীর সামনে পুলিশের কাছে স্বীকার করেন শর্মিলাকে প্রথমে ধর্ষণ করেন। এ কথা কাউকে না বলার জন্য অনুরোধ করেন তিনি। শর্মিলা রাজি না হওয়ায় গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে তাকে হত্যা করা হয়। হত্যার পর শর্মিলার মরদেহ মেহগনি গাছের পাতা দিয়ে ঢেকে রেখে পালিয়ে যান তজিবর। পরে পুলিশ মেহেরপুরের গ্রামের বাড়ি থেকে তাকে আটক করে।

২০১৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা চৌগাছা থানার এসআই এসএম আকিকুল ইসলাম মামলাটি তদন্ত করে চার্জশিট দেন। মামলায় ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি দোষী প্রমাণিত হওয়ায় বৃহস্পতিবার তাকে ফাঁসি ও এক লাখ টাকা অর্থদন্ডের আদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।

জুলাই ২৮,২০২২ at ২০:৫৩:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/গকা/রারি