কিডনিতে পাথর প্রতিরোধে ডায়েট

আজকাল মানুষের কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বেড়েছে। এটি মোকাবিলায় ডায়েটের দিকে নজর দিতে হবে।

১. দৈনিক ৮-১০ গ্লাস পানি পান করতে হবে। এতে প্রস্রাব পাতলা রাখবে এবং প্রস্রাবে পাথর গঠনকারী খনিজ উপাদানের ঘনত্ব কমিয়ে দেবে।

২. খাবারে লবণের পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে যাতে প্রস্রাবে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কমে। উচ্চ সোডিয়ামযুক্ত খাবার যেমন- প্রক্রিয়াজাত মাংস, প্যাকেটজাত স্যুপ, নুডলস এবং লবণাক্ত খাবার।

৩. গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন উচ্চ ক্যালসিয়ামযুক্ত দুই খাবার খেলে কিডনিতে ক্যালসিয়ামযুক্ত পাথর হওয়ার হার কমে যায়। এক কাপ কম চর্বিযুক্ত দুধে ৩০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে।

৪. উদ্ভিদজাত খাবার- পালংশাক, স্ট্রবেরি, গমের ভুসি, বাদাম এবং চায়ে অক্সালিড অ্যাসিড অক্সালেট পাওয়া যায়। এই খাবারগুলো এড়িয়ে চললে প্রস্রাবে অক্সালেটের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করতে পারে।

৫. শরীর ভিটামিন সি’কে অক্সালেটে রূপান্তরিত করে যা কিডনিতে পাথরের গঠন বাড়ায়। যাদের কিডনিতে পাথর হওয়ার প্রবণতা রয়েছে তাদের অতিমাত্রায় ভিটামিন ও খনিজ উপাদান গ্রহণের আগে চিকিৎসক বা ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

৬. চিনি ক্যালসিয়াম বা ক্যালসিয়াম অক্সালেট পাথর বাড়িয়ে দিতে পারে। যাদের কিডনিতে পাথর শনাক্ত হয়েছে তাদের চিনিযুক্ত প্যাকেটজাত খাবার পরিহার করা উচিত।

৭. মাংস এবং অন্যান্য প্রাণিজ প্রোটিনে পিউরিন থাকে যা প্রস্রাবে ইউরিক অ্যাসিড ভেঙে দেয়। অদুগ্ধজাত প্রাণিজ প্রোটিন ক্যালসিয়ামের নির্গমন বৃদ্ধি এবং প্রস্রাবের মধ্যে সাইট্রেটের নির্গমন হ্রাস করে ক্যালসিয়াম স্টোনের ঝুঁকি বাড়ায়।

৮. ক্যালসিয়াম অক্সালেট পাথরের ক্ষেত্রে দুগ্ধজাত খাবার বা চা বা চকলেটের মতো উচ্চমাত্রায় অক্সালেট আছে এমন খাবার খাওয়া উচিত নয়।

জুলাই ২৭,২০২২ at ১১:১০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেরু/রারি