তিতাস গ্যাস ৪০ টাকা ভাড়া বাড়াল গ্যাসের প্রি-পেইড মিটারে

গ্যাসের প্রি-পেইড মিটার ভাড়া (চার্জ) ৪০ টাকা বাড়িয়েছে গ্যাস বিতরণকারী সংস্থা তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি লিমিটেড। চলতি জুলাই মাস থেকেই বাড়তি এই চার্জ যুক্ত হবে। গত মাসে গ্যাসের দাম বাড়ানোর পর এবার মিটার ভাড়া বাড়ানোর ঘোষণা এলো।

এ বিষয়ে জানতে তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হারুনুর রশীদ মোল্লাহকে গতকাল মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) বিকেলে কয়েক দফা ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।

তবে তিতাসের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা মিটার চার্জ বৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিতাস সূত্রে জানা যায়, আগে কম্পানিটির মিটার ভাড়া ছিল ৬০ টাকা। প্রতি মাসে গ্যাসের বিলের সঙ্গে ৬০ টাকা কেটে নেওয়া হতো। কোনো নোটিশ বা ঘোষণা ছাড়াই চলতি মাস থেকে মিটার ভাড়া ৪০ টাকা বাড়িয়ে ১০০ টাকা করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:
৬ সেপ্টেম্বর যশোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন, তিন সদস্য বিশিষ্ট সম্মেলন প্রস্তুত
দৌলতপুরে ডিজিটাল ভূমিসেবায় মানুষের আগ্রহ বাড়ছে, শতভাগ কর আদায়

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাসাবাড়িতে গ্যাসের প্রি-পেইড মিটার স্থাপন শুরু হয় ২০১৭ সালে। যদিও পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছিল ২০১১ সালে। শুরুতে সরকারের গ্যাস বিতরণ কম্পানিগুলোর বেশ আগ্রহ ছিল মিটার স্থাপনে; কিন্তু আস্তে আস্তে মিটার স্থাপনে দীর্ঘসূত্রতা শুরু হয়। এখন আবেদন করেও মিটার পায় না গ্রাহক। যদিও প্রি-পেইড মিটারে গ্যাসের অপচয় রোধ, গ্রাহকের খরচ কমে যাওয়াসহ বিভিন্ন সুবিধা প্রায় প্রতিষ্ঠিত। এরই অংশ হিসেবে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশনের (জাইকা) সহায়তায় প্রি-পেইড মিটার বসানো শুরু করে তিতাস গ্যাস। তিতাসের মোট ২৮ লাখ ৭৪ হাজার ৮৪৮ জন গ্রাহকের মধ্যে আবাসিক গ্রাহক রয়েছে ২৮ লাখ ৫৬ হাজার ২৪৭ জন। তার মধ্যে এখন পর্যন্ত তিন লাখ ২৮ হাজার গ্রাহককে প্রি-পেইড মিটারের সুবিধা দিতে পেরেছে সংস্থাটি।

তিতাস সূত্রে জানা গেছে, প্রতি মিটার ক্রয়, প্রতিস্থাপন ও প্রশাসনিক খরচ বাবদ ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়। যার মেয়াদ ১০ বছর। মিটার স্থাপনের জন্য জাইকার কাছ থেকে ঋণ নিয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করছে সংস্থাটি। মিটার বসানো বাবদ গ্রাহকের এককালীন কোনো অর্থও দিতে হচ্ছে না। প্রতি মাসে গ্যাস বিলের সঙ্গে ৬০ টাকা করে দিতে হতো। পরিকল্পনা ছিল এভাবে মিটারের মূল্য গ্রাহকের কাছ থেকে তুলে নেওয়া হবে। এভাবে ৬০ টাকা করে বিল নিলে মিটারের দাম উঠতে সময় লাগবে ৩০ থেকে ৩৫ বছর; কিন্তু এখন সংস্থাটি দ্রুত এ টাকা উঠিয়ে নিতে প্রতি মাসে ১০০ টাকা করে কেটে নেওয়া শুরু করেছে।

এদিকে গত জুন থেকে পাইপলাইনে সরবরাহ করা প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের পাইকারি দাম ৯ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ২২.৭৮ শতাংশ বাড়িয়ে ১১ টাকা ৯১ পয়সা করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি), যা জুন থেকেই কার্যকর হয়েছে। আর আর প্রি-পেইড মিটারে প্রতি ইউনিটের খরচ ১২ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ৪৩ শতাংশ বাড়িয়ে ১৮ টাকা করা হয়েছে।

জুলাই ২৭,২০২২ at ১১:১৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/ভোকা/এসএম