পিটিআর বিভাগের উদ্যোগে যশোরের শার্শায় ফ্রি ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

গ্রামের অনগ্রসর ও যথাযথ চিকিৎসাসেবা বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবায় যশোর জেলার শার্শা উপজেলার মহিষাপীর আঃ সোবাহান আলিম মাদ্রাসায় মহিষা গ্রামসহ আশপাশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায় দেড় শতাধিক মানুষকে বিনামূল্যে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা দিয়েছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগ।একইসঙ্গে রোগীদের বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় ঔষধও দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন (পিটিআর) বিভাগ সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে এই ফ্রি ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা ক্যাম্পের আয়োজন করে। মূলত বিভাগটি বিভিন্ন সময়ে মানুষকে স্বাস্থ্য সেবাপ্রদান ও ছোট একটি গবেষণা কাজের অংশ হিসেবে এ ধরনের ফ্রি ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা ক্যাম্পের আয়োজন করে আসছে।

ফ্রী ক্যাম্পটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন যশোরের শার্শা উপজেলার ৭ নং কায়বা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন ও বিশেষ অতিধি ছিলেন একই ইউনিয়নের মেম্বার আক্তারুজ্জামান এবং সভাপতি হিসেবে সার্বিক সহায়তা প্রদান করেন মহিষাপীর আব্দুর সোবহান মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ফ.ব.মো.সাইফুর রহমান আজমী।

পিটিআর বিভাগের চেয়ারম্যান ডা. মো. ফিরোজ কবির (পিটি) বলেন, বিভাগটির মূল উদ্দেশ্য এই চিকিৎসা সেবা সাধারণ জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়া। বাংলাদেশে ফিজিওথেরাপির গোড়াপত্তন শুরু হয় বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে। ২০১৮ সাল থেকে আমাদের এই বিভাগটি পরিচালিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের সার্বিক নির্দেশনা ও সহযোগিতা অনুযায়ী। যবিপ্রবি ফিজিওথেরাপি বিভাগ শুধু ক্যাম্পাস নয় ,ক্যাম্পাসের ভেতর ও বাহির উভয় স্থানে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা পৌছে দিতে এ ধরনের হেলথ ক্যাম্প করে আসছে।যবিপ্রবির কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের মানুষ বিভিন্ন সেবা আশা করে। তাই একরকমের দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্ড্রাস্টি অব একাডেমিয়ার অংশ হিসেবে আমরা বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করে যাবো।ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা পেতে হলে মানুষকে ঢাকায় যেতে হয় ও অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়।

তিনি বলেন আজ মহিষা গ্রামের নির্দিষ্ট ও নির্বাচিত কিছু মানুষকে আগে থেকে টোকেন দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। বাতব্যাথা,প্যারালাইসিস,স্ট্রোক,আঘাতজনিত সমস্যা ও বিভিন্ন প্রতিবন্ধীদের জন্য সেবা দেয় ৯ জন চিকিৎসক।এতে অংশ নেয় পিটিআর বিভাগের শিক্ষক,শিক্ষার্থীরা।তিনি জানান,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজ হাতে ফিজিওথেরাপি বিভাগটি চালু করেন। ১৯৭২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদের অধীনে জাতীয় অর্থপেডিক ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোরে) ফিজিওথেরাপি বিভাগ চালু করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকদের রেজিস্ট্রেশন ও লাইসেন্স প্রদানের জন্য বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল চালু করেন।যশোর অঞ্চলের সর্বসাধারণের জন্য বিভাগটি কাজ করে যাচ্ছ।

আরো পড়ুন:
অভয়নগরে জানালার গ্রিল কেটে জিম্মি করে নগদ টাকা-স্বর্ণালঙ্কার চুরি
কাহালুতে ভ্রাম্যমান আদালতে মাছধরা অবৈধ জাল জব্দ

উল্লেখ্য, এ ধরনের ফ্রি হেলথ ক্যাম্প ইতোপূর্বে বিভাগটি আয়োজন করে আসছে। সঠিক ও মানসম্মত ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নিশ্চিত করায় এ বিভাগটির প্রধান উদ্দেশ্য। এছাড়াও বিভাগটিতে স্বল্পমূল্যে (ছুটির দিন ব্যতীত) যে কেউ চাইলে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নিতে পারেন। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিভাগটিতে নিয়মিত রোগী দেখা হয়। ফ্রি হেলথ ক্যাম্পটিতে সার্বিক সহযোগিতা করেন যবিপ্রবির স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন ‘সহায়ক’-এর কর্মীরা ও বিভাগটির বিভিন্ন বর্ষের অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা।

জুলাই ২৬,২০২২ at ১৬:৫০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/ফহা/এসএম