মোংলায় গভীর রাতেও লোডশেডিং

গভীর রাতের লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মোংলা পৌরবাসী। সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ১০ মিনিটে হঠাৎ চলে যায় বিদ্যুৎ। এরপর টানা এক ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ আসে।

এর আগে দিনেও কয়েকবার লোডশেডিং দেওয়া হয়। ঘোষণা ছাড়াই দিনে ও রাতে লোডশেডিংয়ে চরম ভোগান্তিতে বন্দর ও পৌর শহরের বাসিন্দারা।

তবে গভীর রাতে লোডশেডিংয়ের ফলে দোকানপাট ও বাড়িঘরে চুরি-ডাকাতির ভয়ে রয়েছেন স্থানীয়রা। এ ছাড়া অন্ধকারে চলাচলেও ছিনতাইয়ের ঝুঁকি বাড়ছে। গভীর রাতে বিদ্যুৎ না থাকায় শহরের পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের ভোগান্তি ও নৈশপ্রহরীদের মধ্যে চুরি-ছিনতাইয়ের আতঙ্ক ও ভীতি দেখা দিয়েছে।

পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মী মোহর আলী বলেন, ‘রাত ১২টার পর শহরের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করতে নামি। নামতে লোডশেডিং এখন ময়লা তো সব পরিষ্কার হবে না, কারণ অন্ধকারে দেখা যায় না কিছু। আমাদের কষ্ট আরও বেশি হচ্ছে।’

পৌর শহরের শেখ আ. হাই সড়কের দোকানি রুহুল আমিন ও মজিবর গাজী বলেন, রাত ১২টার পর বিদ্যুৎ চলে গেছে। কখন আসে জানি না, এতে তো দোকানপাটের তালা ভেঙে চুরি হওয়ার ভয় আছে।

পৌর শহরের নৈশপ্রহরী মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, রাতেও লোডশেডিং, সকল দোকানপাট বন্ধ। অন্ধকারে কয়টি দোকান পাহারা দেব। কোন জায়গা থেকে চোরে আবার তালা ভেঙে মালামাল নিয়ে যায় সেই আতঙ্কে আছি এখন। একা কয়টা দোকান পাহারা দেয়া যায়।

গভীর রাতে বিদ্যুৎ যাওয়ায় গরমে ভোগান্তি বাড়ছে বাসিন্দাদের। গরমে অনেককে দেখা গেছে বাইরে বসে থাকতে, আবার কেউ কেউ রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করছেন।

শহরের বান্ধাঘাটার এলাকার মো. রাসেল ও কলেজ মোড়ের আ. হালিম বলেন, সারা দিন কাজকর্ম করে বাড়িতে এসে খেয়ে শুতে গেলেই বিদ্যুৎ গেল। গরমে ঘরে থাকা যায় না, তাই বাইরে হাঁটছি। আর ঘরের অন্যান্যরা ঘুম থেকে উঠে বসে আছে। দিনেও লোডশেডিং আবার গভীর রাতেও তাই। আমরা বিপদেই আছি।

এদিকে অন্ধকারে যান চলাচলও চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। শহরতলীর মাকড়ঢোন গ্রামের অটো ভ্যান গাড়ি চালক কালাম হোসেন বলেন, এত রাত এখন দিয়েছে লোডশেডিং, রাস্তাঘাট অন্ধকার কীভাবে গাড়ি চালাবো। গাড়ির আলোতে তো আর কিছু দেখাই যায় না। সবদিক দিয়ে ভীষণ সমস্যা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে মোংলায় ৪৫ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা থাকলেও সরবরাহ রয়েছে ৩০ মেগাওয়াট। আর ঘাটতি থাকছে ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।

জুলাই ২৬,২০২২ at ১০:৫০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেরু/রারি