থানচিতে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত

‘আটশত কোটির পৃথিবী সকলের সুযোগ, পছন্দ ও অধিকার নিশ্চিত করে প্রাণবন্ত ভবিষ্যৎ গড়ি’ এই প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে সারাদেশের ন্যায় বান্দরবানে থানচিতে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) দুপুরে উপজেলা পরিষদের মিলনায়তন হলরুমে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় আয়োজনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহাঃ আবুল মনসুর সভাপতিত্বে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের সভাপতি থোয়াইহ্লা মং মারমা।

এ বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে থানচি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী-লীগের সভাপতি থোয়াইহ্লা মং মারমা বলেন, ১৯৮৯ সালে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির গভর্নিং কাউন্সিল জনসংখ্যা ইস্যুতে গুরুত্ব দেয়া ও জরুরি মনোযোগ আকর্ষণের লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী ১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। পরিবেশ ও উন্নয়নের সাথে জনসংখ্যার সম্পর্ক বিষয়টি সমন্বয়ের তাগিদ থেকেই পরবর্তীতে বিশ্বব্যাপী একযোগে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উদযাপিত হয়ে আসছে।

তিনি আরো বলেন, সুন্দর এই বিশ্ব যেন আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের চাহিদা ও আকাঙ্খাকে সমর্থন করতে পারে তা নিশ্চিত করার স্বার্থে বিশ্বের সকল দেশগুলোকে অধিকতর ন্যায়পরাণতা, সাম্য ও সংহতি অভিমুখে একত্রে কাজ করছে। বাংলাদেশের বর্তমান সরকার এ বিষয়ে যথাযথভাবে উপলদ্ধি করে সময়োপযোগী ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ অব্যাহত রেখেছেন এবং জনসংখ্যা, পরিবার পরিকল্পনা, মা-শিশুস্বাস্থ্য ও কৈশোরকালীন প্রজনন স্বাস্থ্য উন্নয়নে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে।

এ অনুষ্ঠানে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী মংসিংউ মারমা সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসাবে আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাইফুল ইসলাম, থানচি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূর মোহাম্মদ, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অনাদি রনজন বড়ুয়া, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা পারভেজ ভুইঁয়া, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুজন মিয়া, আমার বাড়ি আমার খামার ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক উপজেলা সমন্বয়কারী রনি দাশ প্রমূখ। এছাড়াও উপজেলা সরকারি বেসরকারি অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

দিবসটি উপলক্ষে অতিথিবৃন্দ পৃথক পৃথকভাবে বক্তব্য প্রদান করেন। একই সাথে শ্রেষ্ঠ পরিবার কল্যাণ সহকারী, শ্রেষ্ঠ পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক, শ্রেষ্ঠ পরিবার কল্যাণ পরিদর্শকা, শ্রেষ্ঠ উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, শ্রেষ্ঠ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, শ্রেষ্ঠ ইউনিয়ন পরিষদ, শ্রেষ্ঠ বেসরকারি সংস্থা (ক্লিনিক) ও শ্রেষ্ঠ পাইড পিয়ার ভলান্টিয়ার মাঝে সম্মাননা পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

জুলাই ২১,২০২২ at ২১:৪৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/চিঅমা/রারি