সড়ক পথের ভোগান্তি এড়াতে নৌপথে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ

পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করতে সড়ক পথের ভোগান্তি নিয়ে বাড়িফেরা মানুষগুলো এবার নৌপথে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে । ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে কর্মরত শ্রমিকদের দীর্ঘ এক সপ্তাহের ছুটি শেষ হয়েছে শুক্রবার । শনিবার (১৬ জুলাই) থেকে নিজেদের কর্মস্থলে যোগ দিতে স্বস্তির আশায় সড়ক পথের ভোগান্তি এড়াতে এসব শ্রমজীবী মানুষেরা তাই বেছে নিয়েছে নৌপথ।

শুক্রবার ভোরের আলো ফুটতেই সারি সারি মানুষ আসছে গাইবান্ধার বালাসী লঞ্চ ঘাটে। সকাল থেকেই কর্মস্থলে ফেরা মানুষের চাপ বাড়ায় বড় নৌকা ও লঞ্চে করে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন নৌপরিবহন গুলোর সাথে জড়িত কর্মকর্তা কর্মচারীরা ।

নৌ কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, বাহাদুরাবাদ ও বালাসী নৌ-রুটের বর্ষায় দূরত্ব প্রায় ১৪ থেকে ১৫ কিলোমিটার। শুকনো মৌসুমে যা আরও বেড়ে যায়। এ রুটে বর্তমানে তিনটি লঞ্চ ছাড়াও বেশকিছু নৌকা চলাচল করছে । পারাপারে প্রত্যেক যাত্রীর কাছ থেকে ২০০ টাকা ভাড়া নেওয়া হয়। পারাপার হতে সময় লাগে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা।

সারাবছর গড়ে এ রুটে প্রতিদিন এক থেকে দেড় হাজার মানুষ পারাপার হয়ে থাকলেও ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ হাজার মানুষ পারাপার হচ্ছে। এ রুট দিয়ে গাইবান্ধার মানুষ খুব সহজেই গাজীপুর ময়মনসিংহ ও ঢাকায় যেতে পারছেন। যাত্রীরা জানান, এ রুটে কম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন। একই সঙ্গে গাইবান্ধা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে অনেকে টাঙ্গাইল পার হতে না পারলেও তারা আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছাতে সক্ষম হবেন। তাই নদীপথে একটুখানি ঝুঁকিপূর্ণ হলেও এ সহজ মনে করছেন।

আরো পড়ুন :
যশোর বোর্ডের হিসাব সহকারী সালাম চাকরিচ্যুত
বঙ্গবন্ধু টানেলের দুইপ্রান্তে হবে দুটি থানা

ঈদের ছুটি শেষে গাজীপুরের মাওনা এলাকার একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক রফিক রহমান জানান, ঈদের আগে সড়ক পথে ২৫ ঘন্টায় গাইবান্ধায় এসেছি।শুনেছি নৌপথে বালাসী থেকে বাহাদুর বাদ ঘাটে গেলে ছয় ঘন্টার গাজীপুর পৌঁছা যায় ।তাই ভোগান্তি এড়াতে নৌকায় যাব ।

সাজেদুল ইসলাম নামে আরেক যাত্রী বলেন, আমি নিয়মিত গাজীপুর থেকে নৌপথে গাইবান্ধা আসি এই রুটে ঈদের সময় ভোগান্তি নেই বললেই চলে সড়ক পথের তুলনায় অনেক স্বাচ্ছন্দে বাড়ি ফেরা যায় ।তবে শুস্ক মৌসুমে নৌকা ও লঞ্চ মাঝে মাঝে চরে আটকে গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা আটকে থাকে । নিয়মিত যদি এই পথ ড্রেজিং করা যায় তাহলে আর কোন ভোগান্তি হবে না ।

ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলাউদ্দিন জানান, ঈদ উপলক্ষে ঘাটে যাত্রী চাপ বেড়েছে । উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে । বালাসী লঞ্চ ঘাটের যাত্রীদের নিরাপত্তায় নৌ পুলিশ মোতায়েন করাসহ সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

জুলাই ১৫,২০২২ at ১২:৪৮:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/তাহাসি/রারি