কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে থানার ইনচার্জের বেপরোয়া চাঁদাবাজি

কিছুদিন পরেই কোরবানীর ঈদ। আর এ প্রধান ধর্মীয় উৎসবকে সামনে রেখে হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির অসৎ পুলিশ সদস্যরা চাঁদাবাজিতে মাঠে নেমে পড়েছে। চি‎হ্নিত এই পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ থাকা স্বত্তে¡ও তারা রয়েছে বহাল তবিয়তে। এই থানার সদস্যদের চাঁদাবাজী সম্পর্কে সকলের জানা স্বত্তে¡ও কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় ঝিকরগাছা ও শার্শা উপজেলার বিভিন্ন অংশে অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।

ঝিকরগাছা থানাধীন নাভারণ হাইওয়ে থানর ইনচার্জ মঞ্জুরুল আলম দু’থানার মাদক বিক্রির স্পট, মাদক ব্যবসায়ী, হাইওয়ে রোডে চলাচলকারী নসিমন, করিমন, টেম্পু, আলমসাধু, ইজিবাইক, প্রাইভেট কার, নাম্বার বিহীন মোটরসাইকেল, বাস, ট্রাক, পরিবহন ও শতাধিক ইটভাটার ফিটনেস বিহীন ১০ চাকার ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন থেকে দিনরাত সমানতালে বেপরোয়া চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছেন। যশোরে ঝিকরগাছা ও শার্শা উপজেলার সড়ক-মহাসড়কে অবৈধ ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চলাচলে মোটা অঙ্কের টাকার চাঁদা বাজির অভিযোগ রয়েছে।

নাভারন হাইওয়ে থানা পুলিশের ইনচার্জ মঞ্জুরুল আলম ইজিবাইকসহ অবৈধ তিন চাকার যান মহাসড়কে চলার জন্য মৌখিক অনুমতি দিয়া প্রতি মাসে লক্ষাধীক টাকার চাঁদা আদায় করছে। যার কারণে যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক এবং নাভারন-সাতক্ষীরা সড়কের বেপরোয়া গতিতে অবাধে যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে ইজিবাইক। মহাসড়কে এসব অবৈধ যানবাহন চলাচলের কারনে প্রতিনিয়ত দুঘর্টনায় প্রাণ হাড়াচ্ছে সাধারন মানুষ।

প্রতি মাসে বেনামে নাভারন হাইওয়ে থানা পুলিশের ইনচার্জ মঞ্জুরুল আলম তার নিয়োগকৃত ব্যক্তিদের মাধ্যমে আদায় করে থাকে এসব চাঁদার টাকা। এক মাসের চাঁদার টাকা দিলে পরের মাসের জন্য দেয়া হয় হাইওয়ে সড়কে চলার অনুমতি। কখনো এ সব ইজিবাইক কোনো কারণে আটক হলেও তা ছাড়িয়ে নিয়ে যায় যারা চাঁদা তোলার দায়িত্বে থাকেন তারাই।

আরো পড়ুন :
গ্যাস সংকটে উৎপাদন ব্যাহত, কমছে না লোডশেডিং
সৌদি আরবে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু

হাইওয়ে পুলিশের নিয়োগকৃতরা নিজ নিজ এলাকার বাজারে ইজিবাইক স্ট্যান্ডে যাত্রী নিয়ে চলাচলের সিরিয়ালের ব্যবস্থা করেন। তাতে তারা চালকদের কাছ থেকে প্রতিদিন পায় ২০/৩০ টাকা করে। এ নিয়মে সড়ক-মহাসড়কে বেপরোয়া গতিতে অবাধে যাত্রী নিয়ে চলছে ইজিবাইক গুলো।

এ ব্যাপারে নাভারন হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মঞ্জুরুল আলম বলেন, আমার বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে রিপোর্ট যতো পারেন আপনারা লিখতে থাকেন। আমার সরকারি চাকরির কোনো সমস্যা হবে না। কারণ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে চলতে হয়। আমি অবৈধভাবে যা উপার্জন করি তা থেকে সবার মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করে নেই।

শুধু তাই নয় স্থানীয় সাংবাদিক বড় ভাইদের ছাড়াও যশোরের সাংবাদিকরাও আমার কাছে থেকে মাসোহারা নিয়ে থাকে। আপনারা আমার বিরুদ্ধে যত পারেন লেখেন এবং তার বিরুদ্ধে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কে চাঁদাবাজি ব্যাপারে মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি স্থানীয় নেতাদের আশ্রায় নিয়ে সাংবাদিকদের হুকিদেন।

জুলাই ০৬,২০২২ at ২১:১০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমও/রারি