চৌগাছার সেই প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতির তদন্ত শুরু

যশোরের চৌগাছার হাকিমপুর ইউনিয়নের এবিসিডি (আরাজীসুলতানপুর, বকসিপুর, চাকলা ও দেবিপুর) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাজাহান কবীরের দুর্নীতির তদন্ত শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার (৫জুন) থেকে। বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ও উপজেলা শিক্ষা (প্রাথমিক) কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এরআগে স্নাতক পাশের আগেই নিজের স্ত্রীকে ভুয়া নিয়োগ দেখানো, পরে রেজুলেশন জালিয়াতিসহ নানাভাবে করে ফের স্ত্রীকে নিয়োগ দেয়া, অন্য একজন শিক্ষককে নিয়োগ দিয়ে এমপিও করানোসহ নানা অভিযোগ প্রকাশিত হয়ে পড়লে গত ১২জুন বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি সভা করে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত ও অবৈধভাবে নিয়োগ দেখানো দুই শিক্ষকের এমপিও স্থগিত করার জন্য শিক্ষা দপ্তরে প্রেরণ করে।

একই ইউনিয়নের যাত্রাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরিফুল আলম তুহিনকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি করে। তবে কমিটির প্রধান আরিফুল আলম তুহিন তদন্ত করতে অপারগতা প্রকাশ করায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি পূনর্গঠন করা হয়। আজ মঙ্গলবার এই তদন্ত কমিটি বিদ্যালয়ে গিয়ে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করবেন।

এছাড়া মাঠচাকলা গ্রামের বাসিন্দা মামুন কবীর শিক্ষা অধিদপ্তর, যশোরের জেলা প্রশাসক, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে তাঁর দুর্নীতির প্রমাণপত্রসহ একটি আবেদন করেন। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে। যশোর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম আজম চৌগাছা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম মো. রফিকুজ্জামানকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।

সেই কমিটি ৬জুলাই বুধবার সকালে বিদ্যালয়ে যেয়ে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করবে। এছাড়া যশোরের জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানাকে একটি তদন্ত কমিটি করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেই প্রতিবেদন দাখিলের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।

এদিকে তদন্ত কমটি কার্যক্রম শুরুর আগেই দৌড় ঝাপ শুরু করেছেন প্রধান শিক্ষক শাহাজাহান কবীর। তিনি বিভিন্ন প্রভাবশালীদের অর্থের মাধ্যমে ম্যানেজ করার চেষ্টা করছেন। এমনকি গত ২জুলাই গভীর রাতে তিনি ও তাঁর অভিযুক্ত স্ত্রী অভিযোগকারী মামুন কবীরের বাড়িতে গিয়ে তাঁর অভিযোগ তুলে নেয়ার জন্য অনুরোধ করেন।

অভিযোগ প্রত্যাহার বিনিময়ে অভিযোগকারীকে ২০ লক্ষ টাকা দেয়ার প্রস্তাবও দেন বলে মোবাইল ফোনে জানিয়েছেন মামুন কবীর। বিষয়টি তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকেও অবহিত করেছেন। চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জুলাই ০৪,২০২২ at ২০:৪৮:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মই/রারি