চিলমারীতে দুই দপ্তরের ফাঁদে নৌ-ঘাট হয়রানি যাত্রীদের

মাসের পর মাস চলছে দ্বন্দ্ব বাড়ছে উত্তেজনা। দুই দপ্তরের ফাঁদে চিলমারী নদী বন্দর ঘাটসহ রৌমারী, রাজিবপুর লট/লঞ্চঘাট। ঘোষানার বছরের পর বছর পেড়িয়ে গেলেও শুরু হয়নি বন্দরের কার্যক্রম। জনমনে বাড়ছে হতাশ। ঘাট নিয়ে বিআইডব্লিউটিএ ও জেলা পরিষদের ইজারাদারের মাঝে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে চিলমারী নদী বন্দর ঘাটে। দু-পক্ষের উত্তেজনায় হয়রানীর শিকার যাত্রীরা। সঠিক সমাধানসহ দ্রুত বন্দরের কার্যক্রম চালুর দাবি এলাকাবাসীর।

জানা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী, রৌমারী, রাজিবপুর ঘাট ও তার ফারীঘাট মিলে একটি লট/লঞ্চঘাট। এটি জেলা পরিষদে অধিনে দীর্ঘদিন থেকে চলে আসছিল যদিও বর্তমান বিআইডব্লিউটিএ কপক্ষ বন্দরের চালুর পেক্ষিতে ঘাট গুলো পরিচালনার প্রকৃয়া শুরু করেন। ২০১৬ সালে চিলমারী সফরে আসলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিলমারী নদী বন্দর চালুর ঘোষানা দেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষানার পর ঐ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর তৎকালিন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহাজান খান চিলমারী রমনা ঘাটে পল্টুন স্থাপন করে অভ্রন্তরীণ নৌ পরিবহন কতর্ৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) চিলমারী নদীবন্দর উদ্বোধন করেন।

আনন্দে জেগে উঠে লক্ষ লক্ষ মানুষের মনে। এরপর সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের মন্ত্রী, এমপিসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দেশেরও রাষ্ট্রদুতরাও আসেন পরিদর্শনে। তবুও ঘাট নিয়ে দুই দপ্তরের দ্বন্দ্বের অবসান হয়নি। শেষ পর্যন্ত তা মামলায় গড়ায় আর শুরু হয় ইজারাদার ও তাদের পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব আর উত্তেজনা। এরই জের ধরে বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা বাঘাবাড়ী নদী বন্দর বিআইডব্লিউটিএ সিরাজগঞ্জ মো. আসাদুজ্জামান ইজারাদার মো. শহিদুল্লাহ কায়সারকে ১জুলাই/২২ থেকে ৩০ জুলাই/২২ পর্যন্ত ঘাটগুলো শুল্ক আদায়ের অনুমতি দেন।

সেই মতাবেক ইজারাদার শহিদুল্লাহ কায়সারের কর্মীরা শুক্রবার চিলমারী রমনা নদী বন্দর ঘাটে শুল্ক আদায় করতে আসলে বাঁধা প্রধান করেন জেলা পরিষদের ইজাদারের লোকজন। এতে দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিলে পুলিশ তা নিয়ন্ত্রনে আনেন। কথা হলে ইজাদার শহিদুল্লাহ কায়সার সুুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা দেখিয়ে বলেন, মহামান্য সুপ্রিম কোর্টেও নির্দেশনা ও বিআইডব্লিউটিএ কতপক্ষের নির্দেশনা মতাবেক আমি ও আমার লোকজন ১জুলাই শুক্রবার শুল্ক আদায় করতে আসলে জেলা পরিষদের ইজারাদারের লোকজনদাবি করে আমাদের বাঁধাদেন এবং কিছু বহিরাগত লোকজন দিয়ে আমার লোকজনকে ভয়ভিতি দেখাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি প্রশাসনের কাছে সহায়তা চেয়েও পাচ্ছিনা।

তবে ভয়ভিতি দেখানো বা বাঁধার কথা অস্বিকার করে জেলা পরিষদ ইজাদারের পক্ষের সিদ্দিক বলেন, জেলা পরিষদ থেকে আমাদের ঘাটটি পরিচালনা করতে নির্দেশনা দিয়েছে এবং ৩১ জুলাই/২২ শুনানীর পর সিন্ধান নেয়া হবে বলেন জানিয়েছেন কতর্ৃপক্ষ। এদিকে দু-দপ্তরের দ্বন্দ্বের জেরে হয়রানী হচ্ছে যাত্রী সাধারন। বিষয়টি নিয়ে কোন মন্তব্য না করে চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আতিকুর রহমান বলেন, আইনশৃঙ্খলার যেন কোন অবনতি না ঘটে সে বিষয়ে আমরা প্রস্তুত আছি এবং সেখানে আমাদের পুলিশের টিম রয়েছে। যেহেতু বিষয়টি মামলাধীন এবং আদালত এটির সিন্ধান্ত নিবেন জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ঘাট নিয়ে যেন কোন সমস্যা সৃষ্টি না হয় সেবিষয়ে আমরা সজাগ থাকবো।

জুলাই ০১,২০২২ at ১৭:০৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/ফহ/রারি