শিক্ষিকাকে লাঞ্ছিত : রাবি শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) আইন বিভাগের এক শিক্ষিকাকে লাঞ্ছনার অভিযোগ উঠেছে একই বিভাগের মাস্টার্সের এক ছাত্রের বিরুদ্ধে। এর পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

বুধবার (২৯ জুন) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক চতুর্থ বর্ষের ক্লাস শেষে এ ঘটনা ঘটে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও বিভাগের শিক্ষকদের আলোচনার ভিত্তিতে দুপুর ২টায় তাকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

ভুক্তভোগী শিক্ষিকা অধ্যাপক ড. বেগম আসমা সিদ্দিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সিনিয়র অধ্যাপক। আর অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আশিক উল্লাহ মাস্টার্সের (২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষার্থী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চতুর্থ বর্ষের ক্লাস শেষে আশিক উল্লাহ তার একাডেমিক কোনো বিষয় নিয়ে শিক্ষিকার সঙ্গে ঝামেলা শুরু করেন। তাকে চেয়ারম্যানের কাছে যাওয়ার কথা বলে ক্লাস থেকে চলে যাচ্ছিলেন শিক্ষিকা। এ সময় ক্লাসের দরজা বন্ধ করে শিক্ষিকাকে আটকে দেন আশিক। একপর্যায়ে তিনি শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনাকারী শিক্ষককে মারতে উদ্যত হয় এবং শিক্ষার্থীরা তা প্রতিহত করতে গেলে তাদের শারীরিকভাবে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে এবং হত্যার হুমকি প্রদান করে।

আরো পড়ুন :
এবার ডিজিটাল পেমেন্ট বুথ ঢাকার কোরবানির পশুর হাটে
সিলেটে ভারী বৃষ্টি, ফের বাড়ছে নদনদীর পানি

এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিল ও বহিষ্কারের দাবিতে আইন বিভাগ ও সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান ও বিক্ষোভ করে আইন বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষকদের সাথে বারবার অসদাচরণ, মেয়ে শিক্ষার্থীদের উত্যক্ত করা ও কয়েকজনকে হত্যার হুমকি দেয়ার লিখিত অভিযোগ করে বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও বিভাগের শিক্ষকদের আলোচনার ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

ভুক্তভোগী শিক্ষিকা আসমা সিদ্দিকা বলেন, ‘আমি চতুর্থ বর্ষের ক্লাস শেষ করে বের হতে গেলেই সে আমার পথ অবরোধ করে। ডিপার্টমেন্টের অভ্যন্তরীণ একটি বিষয় নিয়ে আমার কাছে সমাধান চাইলে আমি তাকে চেয়ারম্যান স্যারের সাথে কথা বলতে বলি। কিন্তু সে তা না শুনেই আমার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে।’ অভিযুক্ত আশিক উল্লাহ নিয়মিত বিভিন্ন শিক্ষকের সাথে বেয়াদবী করেই চলেছে বলে অভিযোগ আইন বিভাগের এই বয়োজ্যেষ্ঠ শিক্ষকের।

এ বিষয়ে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক হাসিবুল আলম প্রধান বলেন, ‘অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আমরা বিভাগের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এর আগে তার বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে সেই কমিটির প্রতিবেদনের বাস্তবায়ন চাইব। সেই সঙ্গে সে যেন পরীক্ষা দিতে না পারে সে ব্যবস্থাও করব আমরা।’

জুন ২৯,২০২২ at ১৭:০৬:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/আআ/রারি