টানা তৃতীয় জয়ে বাংলাদেশকে টপকে শীর্ষে ইংল্যান্ড

জেসন রয়ের সেঞ্চুরি ও জস বাটলারের ঝড়ো ফিফটিতে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে আমস্টিলভিনে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে বুধবার (২২ জুন) ইংল্যান্ড জিতেছে ৮ উইকেটে। ২৪৫ রানের লক্ষ্য তারা পেরিয়ে গেছে ১১৯ বল বাকি থাকতে। তিন ম্যাচের সিরিজ ৩-০ তে জিতল বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলে বাংলাদেশকে (১২০) ছাড়িয়ে তারা উঠে গেল শীর্ষে (১২৫)।

ক্যারিয়ারের দশম ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে ৮৬ বলে অপরাজিত ১০১ রান করে ম্যাচের সেরা জেসন রয়। এই ওপেনারের ইনিংসটি গড়া ১৫টি চারে। আরেক ওপেনার ফিল সল্ট ৩০ বলে করেন ৪৯ রান। ইয়ন মর্গ্যানের চোটে এই ম্যাচে ইংল্যান্ডকে নেতৃত্ব দেওয়া বাটলার ৮৬ বলে ৭ চার ও ৫ ছক্কায় খেলেন অপরাজিত ৮৬ রানের ইনিংস।সেই সঙ্গে প্রথম ম্যাচে ৭০ বলে অপরাজিত ১৬২ রানের খুনে ইনিংসে সিরিজের সেরা তিনিই। দ্বিতীয় ম্যাচে তাকে নামতে হয়নি ব্যাটিংয়ে।

এই ম্যাচে স্বাগতিকদের দুই বল বাকি থাকতে অলআউট করে দেওয়ার মূল কারিগর ডেভিড উইলি। ৩২ বছর বয়সী বাঁহাতি পেসার ৩৬ রানে নেন ৪ উইকেট। নেদারল্যান্ডসের তিন ব্যাটসম্যান করেন ফিফটি। তবে ইনিংস বেশিদূর টেনে নিতে পারেননি কেউই। এই ম্যাচ দিয়ে পাকাপাকিভাবে ডাচদের নেতৃত্ব পাওয়া স্কট এডওয়ার্ডস সিরিজে টানা তৃতীয় ফিফটিতে করেন ৭২ বলে ৬৪ রান। ম্যাক্স ও’ডাওড ৫০ ও বাস ডে লেডের ব্যাট থেকে আসে ৫৬।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পঞ্চম ওভারে বিক্রমজিত সিংকে হারায় নেদারল্যান্ডস। তাকে ফিরিয়ে প্রথম শিকার ধরেন উইলি। সেই ধাক্কা ডাচরা সামলে ওঠে দ্বিতীয় উইকেটে ও’ডাওড ও টম কুপারের ৭২ রানের জুটিতে। কুপার ৩৭ বলে ৩৩ রান করে ফেরেন ক্যাচ দিয়ে। ও’ডাওড ৬৮ বলে ফিফটি পূরণের পরই আউট হন লিয়াম লিভিংস্টোনের বলে। এরপরই স্বাগতিকরা ইনিংস সেরা ৮৪ রানের জুটি পায় ডে লেডে ও এডওয়ার্ডসের ব্যাটে। জাগে বড় সংগ্রহের আশা। কিন্তু ব্রাইডন কার্সের বলে ডে লেডে (৭৮ বলে ৫৬) ক্যাচ দিয়ে ফেরার পরই পথ হারিয়ে বসে তারা। ৪১ রানের মধ্যে হারায় শেষ ৭ উইকেট। ৪৯ রানে কার্সের প্রাপ্তি ২টি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকে ৩৮ রানে ১ উইকেট নেন বাঁহাতি পেসার ডেভিড পেইন।

রান তাড়ায় রয় ও সল্টের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় ইংল্যান্ড। দশম ওভারে সল্টকে বোল্ড করে ৮১ রানের শুরুর জুটি ভাঙেন ফন মিকেরেন। এই পেসারের ওই ওভারেই দাভিদ মালানও বোল্ড হয়ে যান শূন্য রানে।অবিচ্ছিন্ন ১৬৩ রানের জুটিতে বাকিটা সারেন রয় ও বাটলার। ভাগ্যের ছোঁয়াও পান রয়। ফিফটির পরপরই তিনি জীবন পান কিপার ক্যাচ নিতে না পারায়। ৭৫ রানে বেঁচে যান আরেক দফা। বাটলার শুরুতে আগ্রাসী ছিলেন না। ফিফটি পূর্ণ করেন তিনি ৪৪ বলে। এক পর্যায়ে তার রান ছিল ৫৪ বলে ৫৩। এরপর ফন মিকেরেনের একই ওভারে তিনটি ছক্কার সঙ্গে চার মারেন একটি। ডে লেডেকে চার হাঁকিয়ে রয় সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৮৬ বলে। টিম প্রিঙ্গলকে বিশাল ছক্কায় উড়িয়ে ম্যাচের ইতি টেনে দেন বাটলার।

জুন ২৩,২০২২ at ১১:৩৩:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/ভোকা/রারি