সব দলের অংশগ্রহণে জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে: শেখ হাসিনা

ফাইল ছবি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সকল রাজনৈতিক দলের স্বত:স্ফুর্ত অংশগ্রহণে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেছেন সংবিধানের ১১৮(১)অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতা বলে নির্বাচন কমিশন আইন-২০২২ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চার জন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করেন। বর্তমান কমিশন সংবিধান এবং প্রচলিত অঅইনের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ সব নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে বদ্ধপরিকর।

বুধবার (২২ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্ন উত্তর পর্বে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে প্রধানমন্ত্রী এ কথা জানান। বুধবারের প্রশ্ন উত্তর টেবিলে উপস্থাপতি হয়। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার প্রশ্নের উত্তরে বলেন, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনার পাশাপাশি স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার বিভিন্ন পর্যায়ে নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করে প্রতিষ্ঠানটি। দায়িত্ব পালনে নির্বাচন কমিশন স্বাধীন থাকবেন এবং কেবল সংবিধান ও আইনের অধীন হবেন। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর ৪ও ৫ ধারা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সরকার ও নির্বাহী কর্তৃপক্ষের আবশ্যিক দায়িত্ব।

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় নির্বাচন একটি অপরিহার্য উপাদান। বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর অবদান ঐতিহাসিক ও অনস্বীকার্য। দেশের গণতন্ত্রের বিকাশ ও অগ্রযাত্রায় আওয়ামী লীগই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। তাই অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্পন্নের লক্ষ্যে উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টিতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার আন্তরিক এবং ইতিবাচক ভুমিকা পালন করে থাকে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অধিকতর গ্রহণযোগ্য এবং অংশগ্রহণমুলক করার লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাাচন কমিশন গঠন আইন, ছবিসহ ভোটার তালিকা, ইভিএম চালু করার কথা তুলে ধরেন।

আরও পড়ুন:
ঈদের পর এসএসসি পরীক্ষা
শিবগঞ্জে মৃত দলিল লেখকগণের পরিবারের মাঝে ১৬লক্ষ টাকা চেক বিতরণ

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকল রাজনৈতিক দল কর্তৃক নির্বাচনে অংশগ্রহণসহ দলীয় কার্যক্রম নির্বিঘ্নে করার পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে। পরিশেষে বলতে চাই, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১১৮(৪) অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন স্বাধীন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারগণ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান এবং আইন অনুযায়ী স্বাধীনভাবে তাদের কাজ সম্পাদন করে থাকেন। নির্বাচন কমিশনের চাহিদা মোতাবেক সরকার সহায়তা করে থাকে। আশা করি সকল রাজনৈতিক দলের স্বত:স্ফুর্ত অংশগ্রহণে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার ভোটার তালিকা আইন-২০০৯ এবং জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা আইন ২০২১ প্রণয়ন করেছে। এর ফলে ২০০৯ সালে বিএনপি আমলে নিবন্ধিত সব ভূয়া ভোটার বাদ দিয়ে প্রকৃত অর্থে যারা ভোটার তাদের নিবন্ধন করা হয়েছে।

জুন ২২,২০২২ at ১৮:১৭:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/ভক/জআ