বুকিং রেট কমলেও প্রভাব নেই বাজারে

ফাইল ছবি

আন্তর্জাতিক বাজারে আরো কমলো ভোজ্যতেলের দাম। গত এক মাসের ব্যবধানে শুধুমাত্র পাম তেলের মণপ্রতি বুকিং কমেছে এক হাজার মালয়েশিয়ান রিংগিত। অপরদিকে সয়াবিনের মণপ্রতি বুকিং কমেছে ২৫০ ডলারের মতো। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজার কমলেও দেশের বাজারে প্রভাব পড়তে একটু সময় লাগবে। কারণ এখন যেসব তেল মজুদ আছে সেগুলো বেশি দরে কেনা। তাই এখনো বাজার চড়া।

সোমবার খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত এক মাস আগে পাম তেলের বুকিং দর ছিল ৬ হাজার রিংগিত। বর্তমানে সেটি নেমেছে ৫ হাজারে। এছাড়া সয়াবিন তেলের বুকিং দর ২৫০ ডলার কমে এখন নেমে এসেছে ১ হাজার ৬০০ ডলারে। এর প্রভাবে যেভাবে স্থানীয় বাজার কমার কথা সেভাবে কমেনি বলছেন ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে খাতুনগঞ্জে প্রতি মণ (৩৭.৩২ কেজি) পাম তেল বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার ২০০ টাকায়।

এছাড়া সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে মণপ্রতি ৭ হাজার টাকায়। খাতুনগঞ্জের তেল ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমাদের দেশে পাম তেল আসে মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া থেকে। অপরদিকে সয়াবিন আসে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা থেকে। বর্তমানে দেশগুলোতে ফসল উৎপাদনের মৌসুম চলছে। যার কারণে পাম ও সয়াবিন তেলের সরবরাহও বেড়েছে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজার কমছে। তবে আমাদের দেশে সরকার ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ করে দেয়ায় আন্তর্জাতিক বাজার কমার কোনো সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।

খাতুনগঞ্জের ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী মো. আবু বক্কর দৈনিক আজাদীকে বলেন, পাম তেল ও সয়াবিন তেলের আন্তর্জাতিক বাজার কমতে শুরু করেছে। সামনে আরো কমবে। এখন আসলে পাম ও সয়াবিনের উৎপাদনের মৌসুম। তবে আমাদের দেশের সরকার দাম নির্ধারণ করে দেয়ায় দাম এক প্রকার স্থিতিশীল রয়েছে।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এসএম নাজের হোসেন দৈনিক আজাদীকে বলেন, ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর জন্য সবসময় আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দেন। অথচ এখন আন্তর্জাতিক বাজার অনেক কম, কিন্তু ব্যবসায়ীরা এখনো অধিক মুনাফায় ব্যস্ত। সরকারের কাছে আমরা অনুরোধ জানাবো যাতে তেলের বাজার যথাযথভাবে মনিটরিং করা হয়।

জুন ২১,২০২২ at ১১:৩৮:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেরু/রারি