বান্দরবানে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাবে ৯ জনের মৃত্যু

বান্দরবানের থানচি উপজেলার রেমাক্রি ইউনিয়নে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। আট দিনে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এরা হলেন- রেমাক্রি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নারিচা পাড়ার বাসিন্দা লংঞী ম্রো (৪৯), সংদন ম্রো (৮), সংওয়ে ম্রো (৬), রুইরক ম্রো (৫০), প্রেলি ম্রো (৩৬), মেনতাং পাড়ার বাসিন্দা মেনথাং ম্রো (৪৭), ইয়ংনং পাড়ার বাসিন্দা ক্রায়ং ম্রো (৫০), সিংচং পাড়ার বাসিন্দা প্রেনময় ম্রো (১২) ও বড়মদক ভিতর পাড়ার বাসিন্দা ডওয়াই সাইন মারমা (২০)।

এছাড়াও আক্রান্ত হয়েছে চারটি পাড়ার ৬০ জনের অধিক বাসিন্দা। ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে আক্রান্ত এলাকায় একটি অস্থায়ী ফিল্ড হাসপাতাল চালু করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) সকালে থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ৭ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম ডায়রিয়ায় আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা দিতে ফিল্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, শুষ্ক মৌসুমে বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দেয়ায় দূষিত পানি পান করায় রেমাক্রি ইউনিয়নে দুর্গম মেন থাং পাড়া, নারিচা পাড়া, ইয়ং নং পাড়া ও সিং চং পাড়ায় অর্ধশতাধিক মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়। দুর্গম এলাকা হওয়ায় ওষুধ ও খাবার স্যালাইনের পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় এবং সচেতনতার অভাবে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ডায়রিয়া।

আরও পড়ুন:
কাহালুতে মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ সমিতি ত্রি-বার্ষিক সন্মেলন ২০২২ অনুষ্ঠিত
অভয়নগরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্ভাবনী উদ্যোগ বিষয়ক কর্মশালা

এ বিষয়ে রেমাক্রি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুই শৈ থুই মার্মা জানান, বর্ষায় শুরু হওয়া বৃষ্টির কারণে ঝিরি-ঝর্ণা-খাল থেকে দূষিত পানি পান করার কারণে ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়ছে। এ পর্যন্ত চারটি পাড়ায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে পর্যাপ্ত ওষুধ, খাওয়ার স্যালাইন ও মেডিকেল টিম পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও দুর্গম আন্দার মানিক এলাকায় একটি অস্থায়ী ফিল্ড হাসপাতাল বসানো হয়েছে। যাতে করে আক্রান্ত রোগীদের দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া যায়।

থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ জানান, থানচির দুর্গম এলাকায় ডায়রিয়ায় এ পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যু খবর পেয়েছি। ওই এলাকায় চিকিৎসকসহ ৭ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম পাঠানো হয়েছে ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত তারা অস্থায়ী ফিল্ড হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা প্রদান করবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

তিনি আরও বলেন, প্রতি বছর এই সময়ে বৃষ্টির কারণে পাহাড়ে ঝিরি-ঝর্ণার পানি দূষিত হয়। আর এই পানি পান করে পাড়ার মানুষ ডায়রিয়া আক্রান্ত হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ৮ জুন থেকে রেমাক্রি ইউনিয়নের দুর্গম সীমান্তবর্তী মেনতাং পাড়া, ক্রায়ং পাড়া, ইয়ংনং পাড়া ও সিংচং পাড়ায় দেখা দেয় ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব।

জুন ১৬,২০২২ at ১৮:৫২:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/সনি/জআ