যশোরে মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু নামে আদম ব্যবসায়ীর মানব পাচারের মামলা

যশোরের আদালতে মানব পাচার অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ মানব পাচারের অভিযোগ এনে তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন সদর উপজেলার কচুয়া গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে রেজাউল ইসলাম।

মঙ্গলবার (১৪ জুন) মানব পাচার প্রতিরোধ দমন আইনের ০৬/০৭/০৮/০৯ ধারায় তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার বড় গাংনী গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু, তার স্ত্রী মোছাম্মৎ পান্না ও ছেলে জহির উদ্দীন দিপুর নামে মামলা দায়ের করেছেন। আসামীরা বর্তমানে সদর উপজেলার রামনগর গ্রামের রেল লাইন সংলগ্ন মসজিদের পাশে বসবাস করেন।

মামলায় রেজাউল ইসলাম জানান, ‘তিনি পেশায় একজন কৃষক। কৃষিকাজ করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করেন। মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু শ্বশুর বাড়ি তার গ্রামে। তাকে ওমানে ভালো কোম্পানিতে উচ্চ পদে চাকরি দেয়ার জন্য মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু, তার স্ত্রী মোছাম্মৎপান্না ও ছেলে জহির উদ্দীন দিপুর বিভিন্ন ধরণের প্রলোভন দেন।

ভালো কাজের আশায় তাদের প্রলোভনে তিনি মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টুর কাছে ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেন। এছাড়ও পাসপোর্ট তৈরির জন্য ৫ হাজার টাকা, ছবিসহ প্রয়োজনীয় কাজগপত্র দেন। তাকে মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু ভিসা দেখান।

আরো পড়ুন :
ঘোড়াঘাটে কৃষি আবহাওয়া বিষয়ক রোভিং সেমিনার অনুষ্ঠিত
গাজীপুরে অবৈধ বসতবাড়ী উচ্ছেদ

তিনি বলেন দুই বছরের জন্য তার ভিসা হয়েছে। যার নং-৩৫৯২৮৫/৭৪। তাকে ভিসার ফটোকপি দেন। এরপর তাকে ওমানে পাঠানো হয়। ওমানের পৌছানের পর তাকে চাকরি দেননি। উল্টো বাড়ি থেকে ২ লাখ টাকা নিয়ে যেতে বলা হয়। বাড়ি থেকে টাকা না আনায় তাকে যে হোটেলে রাখা হয়েছিল সেখান থেকে বের করে দেয়া হয়।

মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টুর লোকজন তার কাছ থেকে ভিসা, পাসপোর্টসহ সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিনিয়ে নেন। তার সাথে খারাপ আচারণ করে। এ অবস্থায় তিনি পালিয়ে যান। তারপর পুলিশের কাছে ধরা দিয়ে ৭ থেকে ৮ মাস জেল খেটে দেশে আসেন।

দেশে ফিরে মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টুর বাড়িতে গেলে তার সব টাকা ফেরত দেয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে এখনো পর্যন্ত কোন টাকা দেননি। তাই তিনি বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন। এই সংঘবদ্ধ মানব পাচারকারীরা আরো মানুষের এভাবে ক্ষতি করেছেন।

সদর উপজেলার চাউলিয়া গ্রামের আব্দুর রশিদ ৫ লাখ ৫০ হাজার ও কচুয়া গ্রামের লিটনের কাছ থেকে ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে প্রতারণা করেন। কারো টাকা ফেরত দেননি। উপযুক্ত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এই চক্রের বিচারের দাবি করেন ও ক্ষতি পূরণ হিসেবে টাকা ফেরত চান।

জুন ১৪,২০২২ at ২১:২৪:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/রুআ/রারি