ক্ষেতলালের বড়তারা ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিডি কার্ডের চাল বিতরনের সময় অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার বড়তারা ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিডি কার্ডধারীদের কাছে চাল বিতরনের সময় সুবিধাভোগীদের প্রত্যেকের কাছ থেকে প্রতি মাসে ২১৫ টাকা নিয়ে তাদের কার্ডে ২০০ টাকা তুলে দেওয়া হয়। অতিরিক্ত এই ১৫ টাকা কেন নেওয়া হয় তা নিয়ে ক্ষোভ ও অভিযোগ জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

জানা গেছে, উপজেলার বড়তারা ইউনিয়ন পরিষদের ৪৩৯ জন কার্ডধারী গরিব অসহায় পরিবারের মাঝে প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে ভিজিডির চাল বিতরন করা হয়। যা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে দিয়ে আসা হচ্ছে এবং সেই শুরু থেকে আজ পর্যন্ত ওইসকল কার্ডধারী সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে ২১৫ টাকা করে নিয়ে তাদের কার্ডে ২০০ টাকা তুলে দেওয়া হয়।

ভুক্তভোগীদের এমন অভিযোগ পেয়ে (১৩ জুন) সোমবার সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বড়তারা ইউনিয়ন পরিষদে প্রতি মাসের ন্যায় আজও গরিব অসহায় ৪৩৯ জন কার্ডধারী ব্যক্তিদের মাঝে ভিজিডি চাল বিতরন করা হচ্ছে। কার্ডধারীদের কাছ থেকে ২১৫ টাকা নিয়ে ২০০ টাকা কার্ডে তুলে দেওয়া হচ্ছে। সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে পরে ২০০ টাকা করে নিতে শুরু করে।

এয়বিষয়ে কার্ডধারী ভুক্তভোগী পূর্ণিমা ও রশিদসহ আরো অনেকেই জানায়, প্রতি মাসে চাল বিতরণ কালে আমাদের কাছ থেকে ২১৫ টাকা নিয়ে আমাদের কার্ডে ২০০ টাকা তুলে দেওয়া হয়। অতিরিক্ত এই ১৫ টাকা তারা কেন নেয় এই বিষয়ে আমাদের কিছু বলেনা। আমরা গরিব বলে প্রতিবাদও করতে পারি না।

এ বিষয়ে, ওই ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারী (মাষ্টাররোল) রক্সি জানায়, আজ আমরা জুন মাসের ভিজিডি কার্ডের চাল সুষ্ঠভাবে বিতরন করেছি। অতিরিক্ত ১৫ টাকা নেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে বলেন, আমি টাকা তুলিনা আমার যা কাজ আমি কেবল মাত্র সেটাই করি যারা টাকা তোলে এটা এক মাত্র তারাই বলতে পারবে।

আরও পড়ুন:
পদ্মা সেতু: সেতু ছুঁয়ে যাওয়ার অপেক্ষায় বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস
যশোর জেলা মহিলালীগে পদ না পেয়ে পদবঞ্চিতদের মানববন্ধন

এ বিষয়ে পাঠানপাড়া ডাচবাংলা এজেন্ট ব্যাংকের কর্মী নাহার নাহা ও সনি আক্তার বলেন, এখানে প্রতি মাসে যখন চাল বিতরন করা হয় তখন আমাদের অফিস থেকে যে কোন দুজন কর্মচারী এখানে দায়িত্বে থাকে। আমরা যেন সুবিধাভোগীদের কার্ডে ২০০ টাকা তুলে দিয়ে স্বাক্ষর করি। কিন্তু আমাদের সাথে ইউনিয়ন পরিষদের একজন করে কর্মী এখানে বসে থাকে যারা ওই টাকা নিয়ে ২০০ টাকা আমাদের মাধ্যমে তাদের ব্যাংক একাউন্টে জমা করেন। বাকি টাকা তারা কি করেন এ বিষয়ে আমরা কিছু জানিনা।

এই বিষয়ে বড়তারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দীনের সাথে কথা প্রথমে তিনি সাংবাদিকদের স্বাক্ষাৎকার দিতে রাজি হয়না। পরে তিনি বলেন, এই অতিরিক্ত ১৫ টাকা আসলে যারা লোড আনলোড বা লেবার তাদের খরচের জন্য হয়তো নিয়েছে। আমি এই ব্যাপারে অবগত ছিলাম না আমি দীর্ঘদিন অসুস্থ অবস্থায় ছিলাম তাই ইউনিয়ন পরিষদে খুব একটা সময় দিতে পারিনি। আজ আমি এই ব্যাপারটা অবগত হয়ে সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দিয়েছি আগামীতে আর কখনো এমন হবে না বলে আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, এই ছোট খাটো বিষয় নিয়ে দয়া করে আপনারা লেখালেখি করবেন না।

জুন ১৩,২০২২ at ১৮:২৮:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/শইশ/জআ