যশোরের চৌগাছায় কপোতাক্ষ নদ থেকে মিরাজ হোসেন চয়ন (১৭) নামে এক কিশোরের বস্তাবন্দি লাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। মিরাজ হোসেন উপজেলার চৌগাছা সদর ইউনিয়নের দিঘলসিংহা পূর্বপাড়া গ্রামের সবুজ হোসেনের ছেলে।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশের একটি দল নদের কদমতলা-মাশিলা সড়কের ধুনারখাল নামক স্থান থেকে লাশটি উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
উদ্ধারের সময় একটি প্লাষ্টিকের সাদা বস্তার মধ্যে থাকা লাশটির সাথে দুটি ইট এবং একজোড়া জুতা রাখা ছিলো। বস্তার মুখ মোবাইলের চার্জারের তার দিয়ে বাধা এবং নদের পাড়ে একঝাক ঘাসের পাশে নিহতের ব্যবহৃত অপপো কোম্পানির স্মার্ট ফোনটি রাখা ছিলো।
পরে চৌগাছা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম সবুজ, পরিদর্শক (তদন্ত) ইয়াছিন আলম চৌধুরীসহ পিবিআই, সিআইডি ও পুলিশের বেশ কয়েকটি দল এবং উর্দ্ধতন পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার সকালে এক নারী ওই স্থানে নিজের জুতা পানিতে পরিস্কার করতে যান। তিনি সেখানে নদের নতুন খননকৃত (চৌগাছা এলাকায় কপোতাক্ষ নদ খনন চলছে) অংশের কিনারে পানিতে প্রায় ডুবন্ত (মুখের দিকে সামান্য অংশ দেখা যাচ্ছিল) অবস্থায় একটি সাদা প্লাষ্টিকের বস্তায় কিছু ভরা অবস্থায় দেখতে পান। একইসাথে পাশেই কেটে নদের তীরে শুকনো জায়গায় একটি ঘাসের গাছের আড়ালে একটি স্মার্ট ফোন দেখতে পান। পরে স্থানীয়দের বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হলে থানা পুলিশে সংবাদ দেন তাঁরা। বেলা ১১টার দিকে থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে বস্তাটি উদ্ধার করলে সেটির মধ্য থেকে চয়নের লাশ, একজোড়া জুতা ও দুটি নতুন ইট বের হয়ে আসে। স্থানীয়দের ধারনা বস্তার মধ্যে ইট দুটি রাখা হয়েছে লাশসহ বস্তাটি যেন ডুবে যায়। নিহতের বাবা সবুজ হোসেন সবজির ব্যবসা করেন, তাঁদের দুটি ট্রাক রয়েছে। তিনি ঠাকুরগাঁওয়ে অবস্থান করছিলেন।
নিহতের মা, খালা ও মামা’রা ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, রোববার মাগরিবের নামাজের পর খালার কাছে দশ টাকা চায়। টাকা নিয়ে বলে আমি পিকনিক করতে যাচ্ছি। এরপর রাতে সে আর বাড়িতে ফেরেনি। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে তাঁরা ঘটনাস্থলে আসেন।
ঘটনাস্থলে চৌগাছা থানার পরিদর্শক ইয়াছিন আলম চৌধুরী বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে শ্বাসরোধে হত্যার পর বস্তায় ভরে নদে ফেলে রেখে গেছে।
চৌগাছা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম সবুজ বলেন, লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এবিষয়ে পিবিআই, সিআইডিসহ থানা পুলিশের কয়েকটি দল কাজ করছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
জুন ১৩,২০২২ at ১৫:৩২:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/সআ/জআ