সীতাকুন্ড ট্র্যাজেডি: বাঁচানো গেল না ফায়ার ফাইটার মনিরামপুরের গাউসুলকে

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে বিস্ফোরণের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস কর্মী যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় খাইটুয়াডাঙা গ্রামে গাউসুল আজম (২২) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। শনিবার (১২ জুন) রাত ৩টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মৃত্যু তার হয়েছে। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস, এম, আইউব হোসেন।

তিনি জানান, গাউসুলের শরীরে ৭০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। সঙ্গে তার শ্বাসনালী পুড়ে গিয়েছিল। চট্টগ্রাম থেকে হেলিপ্টারে করে ঘটনার পরদিন তাকেসহ ৭ জনকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। ওইদিনই তাকে ভর্তি করা হয় আইসিইউতে। পরবর্তিতে তার অবস্থার অবনতি হলে দেওয়া হয় লাইফ সাপোর্ট। মাঝে কিছুটা উন্নতি হলে লাইফ সাপোর্ট খুলে নেওয়া হয়। কিন্তু সর্বশেষ তার অবস্থার আবার অবনতি হলে তাকে আবারও লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।

গাউসুলের ফুপাতো ভাই কোরবান আলী জানান, তাদের বাড়ি যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় খাইটুয়াডাঙা গ্রামে। ২০১৮ সালে ফায়ার ফাইটার হিসেবে চাকরিতে যোগদান করে সে। মাত্র দুই বছর আগে বিয়ে করেছে সে। সিয়াম নামে ৬ মাস বয়সী একটি ছেলে রয়েছে তার। দুই ভাই-বোনের মধ্যে গাউসুল ছিল ছোট।

স্বজনরা জানায়, সীতাকুন্ড ফায়ার স্টেশনে কর্মরত ছিলে সে। সেদিন আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে প্রথমেই তারা ছুটে যায় আগুন নেভাতে। সেখানেই বিস্ফোরণে দগ্ধ হন গাউসুল আজম।