রাজউক কমার্শিয়াল মার্কেটের ব্যবসায়ীদের উন্নয়নে কাজ করে চলেছেন জহিরুল ইসলাম ও এবিএম সুমন

রাজধানীর উত্তরা আজমপুর রাজউক কর্মচারী বহুমুখী কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স মার্কেটের ব্যবসায়ীদের উন্নয়নের জন্য তারা একটি কমিটির প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেন । তারই ধারাবাহিকতায় গত ১ লা মে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত নির্বাচনে কণ্ঠভোটে সভাপতি নির্বাচিত হন জহিরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন বি এম সুমন।

এরই মধ্য দিয়ে পূরণ হয় রাজউক কমার্শিয়াল মার্কেটের ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। ইতিপূর্বে ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলামের নির্দেশে ২০২১ সালে তিন মাসের জন্য একটি এডোক কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটি ১৪ মাসের মধ্যে ও নির্বাচন দিতে ব্যর্থ হন।

পরবর্তীতে বর্তমান কমিটির লোকজন উত্তরা ব্যবসায়ী মালিক সমিতির উপদেষ্টা ঢাকা ১৮ আসনের এমপি আলহাজ হাবিব হাসান কে অবহিত করে নির্বাচন সম্পন্ন করেন। খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় বর্তমান সভাপতি জহিরুল ইসলাম পৈত্রিক সূত্রে অগাদ সম্পত্তির মালিক নিজেও পরিশ্রম করে গড়ে তুলেছেন বিশাল ধন-সম্পদ। অপরদিকে বি এম সুমনের আর্থিক অবস্থা আগে খারাপ থাকলেও বর্তমানে তিনি স্বচ্ছল অবস্থায় চলছেন।

সুমনের পিছুটান থাকার কোনো অবকাশ নেই কেননা তিনি উত্তরার একজন স্বনামধন্য ধনাঢ্য ব্যক্তির মেয়ে জামাই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক ব্যবসায়ী বলেন তার যদি মার্কেট থেকে কোন সুযোগ সুবিধা নেওয়ার ইচ্ছে থাকত তাহলে তিনি তার শ্বশুরের কাছ থেকেও সুযোগ সুবিধা আদায় করে নিতে পারতেন।

এ ব্যাপারে বিএম সুমনের সাথে কথা বল্লে তিনি জানান আসলে করোনাকালীন সময়ে ব্যবসা অত্যান্ত খারাপ যাওয়ার কারণে অর্থনৈতিকভাবে আমি কিছুটা অসচছল হয়ে পড়ি পুনরায় করোনার পরবর্তী সময় থেকে আবার আল্লাহর রহমতে ব্যবসা-বাণিজ্য নতুন ভাবে চালু হওয়ায় আমি এখন সম্পূর্ণরূপে সচ্ছল এবং সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন করছি। নতুন কমিটির উপর আস্থা রেখে মার্কেটের অধিকাংশ ব্যবসায়ী জানান আশা করছি তারা আমাদের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নগুলো পূরণ করতে পারবেন।

আরো পড়ুন :
কেশবপুরে দুঃস্থ-অসহায়দের মাঝে চিকিৎসা বাবদ ১৮ লাখ টাকা বিতরণ
মহানবীকে কটূক্তি: যশোরে ইমাম পরিষদের বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ

ইতিমধ্যে তারা মার্কেটের সিঁড়ি নির্মাণের কাজ এবং মার্কেটের অন্যান্য উন্নয়ন মূলক কিছু কাজে হাত দিয়েছেন। অপর দিকে অতীত কমিটির তথাকথিত সভাপতি মাজেদ এই মার্কটকে পূজি করেই টাকার পাহাড় গড়ে তোলেন। হঠাৎই আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে উঠার রহস্যময় গল্প কারো অজানা নেই।

রাজধানীর উত্তরায় রাজউক কমার্শীয়াল মার্কেটের কমিটিতে আসার পর পরই দেখা গেছে তার দখলবাঁজি আর প্রতারণার তিব্রতা। শুধু রাজউক মার্কেটেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং দেশের বিভিন্ন প্রান্তরে ব্যাবসায়ী মহল থেকে প্রতারণা করে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি টাকা ।

জানা গেছে, খুনের মামলা সহ একাধীক প্রতারণার ভয়ংকর অভিযোগ নিয়েও সমাজে আতঙ্কের হিরো হয়ে ঘুরে বেড়ান মাজেদ। রাজউক মার্কেটের মসজিদ ভেঙে ১৬ টি দোকান বানিয়ে ভাড়া দেবার মত জঘন্য কাজও ইতোমধ্যে সফল করেছে মাজেদ।

মার্কেট দোকানীরা আশা করছেন বর্তমান কমিটি এমন কোন কাজ করবেন না যা মাজেদের কথা স্বরণ করিয়ে দেয়। অপরদিকে সভাপতি জহিরুল ইসলামের জন্মস্থান বৃহত্তর নোয়াখালী হওয়ায় বড় একটা নোয়াখালী ব্যবসায়িক সমর্থন রয়েছ। মার্কেটের একটা অংশ ব্যাবসায়ী কমিটির বিপক্ষে ও অবস্থান করছে।

একই মার্কেটে মাজেদের রয়েছে সূরম্য একটি অফিস। লিফট, বিদ্যুৎ সুবিধা ৪র্থ তলা পর্যন্ত থাকার কথা থাকলেও সৃবিধা ভোগ করছেন অতিরিক্ত ফ্লোরের দোকানদাররা। সব মিলিয়ে জগাখিচুড়ি অবস্থার সমাধান সমাধান আশা করছেন বর্তমান কমিটির কাছে।

জুন ১১,২০২২ at ২২:৩৬:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/রইমি/রারি