বরিশাল সদর উপজেলায় মায়ের পরকীয়া দেখে ফেলায় প্রেমিকের সহযোগিতায় মেয়েকে হত্যা করে মা। প্রথমে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। পরে ওড়না দিয়ে পেঁচিয়ে মেয়ের মরদেহ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে চান মা লিপি আক্তার।
নিহত তন্বী আক্তার (১৩) বরিশাল সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের ছোট রাজাপুর গ্রামের সোহরাব হাওলাদারের মেয়ে ও স্থানীয় পানবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। এ ঘটনায় মা লিপি আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়। তবে তার প্রেমিক পলাতক রয়েছেন।
শনিবার (০৪ জুন) পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেন মা লিপি আক্তার।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. জাকির হোসেন মজুমদার বলেন, এ ঘটনায় মা লিপি আক্তারকে আটকের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তন্বী হত্যার পুরো ঘটনা শিকার করেন। মামলার এজাহার অনুযায়ী পরকীয়া প্রেমিক করিব খান ও তার সহযোগী জসিম উদ্দিনকে গ্রেফতার অভিযান চলছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ মে দুপুরে বরিশাল সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের ছোট রাজাপুর গ্রামে মা লিপি আক্তার ও তার পরকীয়া প্রেমিক কবির খানের ‘অন্তরঙ্গ মুহূর্ত’ দেখে ফেলে মেয়েটি। ঘটনাটি বাবা সোহরাব হাওলাদারের কাছে বলে দেবে বলে জানায় তন্বী। এরপর তন্বীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লিপি আক্তার ও তার প্রেমিক কবির খান। মেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে দিনমজুর স্বামী সোহরাব হাওলাদারকে জানায় লিপি।
এরপর ঘটনাস্থল থেকে তন্বি আক্তারের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় বিএমপির কাউনিয়া থানা পুলিশ। এ ঘটনায় তন্বীর বাবা সোহরাব হাওলাদার বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে শনিবার মা লিপি আক্তারকে আটক করে পুলিশ।
লিপির স্বামী ও তন্বী আক্তারের বাবা সোহরাব হাওলাদার বলেন, মেয়ে হত্যার বিচার চাই। গত একবছর ধরে লিপির সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়ায় একই ইউনিয়নের রামকাঠি গ্রামের নুরু খানের ছেলে কবির খান। কিন্তু আমি জানতাম না। তাদের খারাপ সম্পর্ক দেখে ফেলায় তন্বীকে ওরা খুন করে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে চায়।
জুন ০৪,২০২২ at ১৭:১৯:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/সনি/জাআ