জানিপপ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ৬০ কোটি টাকায় রিফাতের মনোনয়ন নেয়ার অভিযোগ

বামে নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, ডানে মনিরুল হক চৌধুরী ।

জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা করলেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত। গতকাল বুধবার চট্টগ্রামে তার পক্ষে সাইবার ট্রাইব্যুনালে এ মামলা দায়ের করেন কুমিল্লা শহর যুবলীগের আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ শহিদ।

জানা গেছে, ভার্চুয়াল মাধ্যমে এক আলোচনায় আরফানুল হক রিফাতের বিরুদ্ধে ৬০ কোটি টাকার বিনিময়ে মনোনয়ন পাওয়ার অভিযোগ তুলেন জানিপপ চেয়ারম্যান। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা এ মামলায় আরো দুই জনকে আসামি করা হয়। তারা হলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী ও যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইউটিউব চ্যানেল টেবিল টক ইউকের সঞ্চালক হাসিনা আক্তার।

বাদীপক্ষের আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী গতকাল গণমাধ্যমকে বলেন, মামলায় পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সাইবার আদালত চট্টগ্রামের বিচারক জহিরুল কবীর। আগামী ১২ জুলাই পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়েছে।

মামলার আরজিতে বাদী অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গত ১৩ মে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী মনোনয়ন বোর্ডের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কুমিল্লা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাতকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়। কিন্তু বিএনপি-জামায়াতের আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতায় যুক্তরাজ্য থেকে পরিচালিত ইউটিউব চ্যানেল টেবিল টক ইউকে গত ১৯ মে প্রচারিত টক শোতে আরফানুল হক রিফাতের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ও বানোয়াট অপপ্রচার করে।

সেখানে কলিমুল্লাহ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি মনিরুল হক চৌধুরীসহ আরো দুজন অংশ নেন। রিফাত ‘প্রথমে ১৩ কোটি, তারপর ২০ কোটি, তারপর ৬০ কোটি টাকা দিয়ে মনোনয়ন কিনেছেন’ বলে ওই টকশোতে বলা হয়।

যেহেতু মনোনয়ন বোর্ডের প্রধান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা, তাই এ ধরনের বক্তব্য তার জন্য মানহানিকর। তাছাড়া ওই আলোচনায় যুবলীগ নেতা সহিদের নামও ‘মনোনয়ন বাণিজ্যে জড়ানো হয়েছে’ বলে অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়। তবে বক্তব্যে কারো মানহানি করেননি দাবি করে অভিযোগ অস্বীকার করেন মনিরুল হক চৌধুরী। গতকাল বিকালে তিনি গণমাধ্যমকে জানান, ‘আলোচনার একপর্যায়ে টাকা লেনদেনের বিষয়টি শুনেছি, বলেছি।

এ ঘটনার পর চরম ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সারাদেশের গণমাধ্যম কর্মীরা। তারা মামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে), ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে), ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ), এডিটর গিল্ডসসহ বিভিন্ন বিভাগ ও জেলা সাংবাদিক সংগঠনগুলো। এছাড়া সারাদেশেই প্রতিবাদ অব্যাহত রেখে মানববন্ধন কর্মসূচির পাশাপাশি প্রতিবাদ সমাবেশ করছেন জেলা ও উপজেলা সাংবাদিকরা।

জুন ০২,২০২২ at ০৬:৪০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/ভোকা/রারি