দৌলতপুরে যুবজোট নেতাকে রগ কেটে হত্যা

দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত যুবজোট নেতা মাহবুব খান সালাম।

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পূর্ব বিরোধের জের ধরে জাতীয় যুবজোট নেতাা মাহবুব খান সালামকে (৪০) হাত-পায়ের রগ কেটে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দেহভাজন একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার (১১ মে) রাত ১১টার দিকে উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের আল্লারদর্গা মাস্টারপাড়া এলাকায় এ হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত মাহবুব খান সালাম জাতীয় যুবজোট দৌলতপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের আমদহ গ্রামের আলাউদ্দিন আলীর ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বুধবার রাত ১১টার দিকে আল্লারদর্গা বাজার থেকে ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে বাড়ি ফিরছিলেন মাহবুব খান সালাম। অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা পথ আটকে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তারা রামদা দিয়ে সালামকে এলোপাতাড়ি কোপায় এবং হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়। রাত ১২টার দিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। সেখান থেকে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ওই হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

আরো পড়ুন :
নড়াইলে চলতি বোরো মৌসুমে ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযান-২০২২ এর উদ্বোধন
হজে পাঠানোর কথা বলে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারক চক্র

এদিকে জাসদের অংঙ্গ সংগঠন জাতীয় যুবজোটের নেতা মাহবুব খান সালামকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনার পর সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ মে) সকালে সালাম হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুদ্ধ লোকজন আমদহ গ্রামের গকুল আলীসহ কয়েকজনের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ হত্যার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাগের জন্য পুলিশ বৃহস্পতিবার সন্দেহভাজন একজনকে আটক করেছে।

এলাকাবাসী জানান, গত বছরের মাঝের দিকে উপজেলার কল্যাণপুর দরবার শরিফের ভেতরে রাশেদ নামে সেখানকার এক খাদেমকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। সালাম ওই হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ছিলেন। পরে দরবার শরিফটি উচ্ছেদের দাবিতে সেখানে ভাঙচুর ও আগুন দেয়া হয়। লুটপাটও করা হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় প্রভাবশালীদের সঙ্গে প্রকাশ্যে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন সালাম। তিনি নানা ইস্যুতে ফেসবুকে সোচ্চার হয়ে ওঠেন। হত্যার শিকার হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগেও তিনি ফেসবুকে অ্যাক্টিভ ছিলেন।

দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম জাবীদ হাসান সাংবাদিকদের বলেন, পূর্ব বিরোধের জের ধরে সালামকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। হত্যার বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাগের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে। প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

মে ১২,২০২২ at ১৬:০২:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসআরসে/রারি