আটঘরিয়া উপজেলার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করানোর অভিযোগ

পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার চেয়ারম্যান তানভীর ইসলামের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করানোর অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (৯ মে) দুপুরে আটঘরিয়া উপজেলা চাঁদভা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম কামাল সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ঈদুল ফিতরের দরিদ্র মানুষের জন্য সরকারি বরাদ্ধের ভিজিএফ চাউল বিতরণের অনিয়মের একটি রিপোর্ট বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়াতে প্রকাশিত হয়। যেটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার ব্যক্তিগত ইমেজ নষ্ট করার অপচেষ্টা মাত্র। মিডিয়াকর্মীদের ভুল বুঝিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান এমন সব মিথ্যা সংবাদ ছড়ানো হচ্ছে।

তিনি বলেন, ১৭১০ জন ভিজিএফ ভোগীদের তালিকা ইউনিয়ন কমিটির রেজুলেশনের মাধ্যমে উপজেলা কমিটিতে পাঠানো হয়। এরমধ্যে উপজেলার চেয়ারম্যান ৩৪০ জনের তালিকা ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানদের জন্য পৃথক তালিকা প্রেরণ করা হয়। গত বছরের তুলনায় এবার ২৪৫ টি ভিজিএফ ভোগীদের তালিকা কম হওয়ায় সরকারি নিয়ম অনুযায়ী উপজেলা কমিটিতে পাঠাই। কিন্তু উপজেলা চেয়ারম্যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ডিসি স্যারকে অভিযোগ করেন।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউএনও মহোদয় ডিসি স্যারকে অবিহত করলে আমি ডিসি স্যারের সাথে মোবাইলে কথা বলে বিষয়টি অবহিত করি। ডিসি স্যার ডিডিএলজি স্যারকে বিষয়টি দেখভাল করার নির্দেশনা দেন। সবার উপস্থিতিতে ডিডিএলজি স্যার উপজেলা চেয়ারম্যানের ৩৪৫ তালিকার ভিজিএফ দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেন।

আরো পড়ুন :
শ্রেষ্ঠ এসআই শিবগঞ্জ থানার স্বপন মিয়া
দাগনভূঞায় চাঁদাবাজী মামলায় ছাত্রলীগ নেতা শ্রী ঘরে

আমি সিদ্ধান্ত মেনে নেই এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের তালিকাভূক্ত ৩৪০ জনের ১০ কজি করে চাউল (৩.৪) মেট্রিক টন কিনে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। চাউল বিতরণে সহকারি কমিশনার ভূমি, এসিল্যান্ড ম্যাজিস্ট্রেট, ৫ টি ট্যাগ অফিসার, পুলিশ সদস্যসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষের উপস্থিতিতে সুষ্ঠুভাবে বিতরণ করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিতরণ পরিদর্শন করেন এবং শেষে উপস্থিতিতে অড়াইশ থেকে তিনশ জনের ব্যক্তি উদ্যোগে নগদ দুইশ থেকে তিনশ টাকা বিতরণ করা হয়।

তিনি আর অভিযোগ করেন, উপজেলা চেয়ারম্যান তানভীর ইসলাম নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত হয়ে বিগত ৩ বছর ইউনিয়ন পরিষদের টিআর কাবিখা, কাবিটা, এডিবি, এবং বিভিন্ন সরকারি বরাদ্ধে হস্তক্ষেপ করেছে। সে বিষয়ে আমি উর্ধ্বতন মহলে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলে পুনরায় ফিরে পাই। ইউনিয়ন পরিষদকে অকার্যকরা করার বিভিন্ন অপচেষ্টা করছে। ভিজিএফ ৩৪০ জনের চাউল নেওয়ার পরেরদিন উপজেলা চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের ভূল বুঝিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সে ঢালাওভাবে প্রচার করে।

বিভিন্ন গনমাধ্যমে যাদের নামসহ বক্তব্য দিয়ে সংবাদ করানো হয়েছে তারা কিছুই জানেননা। উপজেলা চেয়ারম্যানের স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় কয়েকবার আমাকে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্থানীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে মারধর করেছে। ত্যাগী আওয়ামী লীগের লোকজনকে প্রাধান্য না দিয়ে জামায়াত- বিএনপির রাজনীতিকে প্রতিষ্ঠা করছে।

মে ০৯,২০২২ at ২০:২০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মিতা/রারি