কাজিপুরে ইরি-বোরো ধান চাষে আশাতীত লক্ষ্যমাত্রা, ভুট্টার বাম্পার ফলন

সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১২টি ইউনিয়নে ও ১টি পৌরসভায় ১৩ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও অর্জিত হয়েছে ১৩ হাজার ২শত ১০ হেক্টর জমি। ভুট্টা আবাদ হয়েছে ৮৭৫০ হেক্টর জমিতে। ইরি বোরো ধানের উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৫০৯৮ মেট্রিক টন।

আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় সঠিক সময়ে চারা লাগানো, নিবিড় পরিচর্যা, নিরবিচ্ছন্ন বিদ্যুত সরবরাহ, যথা সময়ে সেচ দেওয়া ও সার সংকট না থাকায় উপজেলায় চলতি মৌসুমে ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সম্প্রতি ঝড়ো হাওয়ার কারণে বেশ কিছু জমির ধান পড়ে যাওয়ায় সামান্য ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।

চলতি মৌসুমে উপজেলা কৃষি অফিসের ব্যবস্থাপনায় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারে কৃষকদের নিরোৎসাহিত করেছেন মাঠ পর্যায়ে থাকা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা। বিশেষ করে আইপিএম (বালাই সমন্বিত শস্য ব্যবস্থাপনা) ক্লাবের মাধ্যমে আলোক ফাঁদ ও বোরো ক্ষেতে পার্চিং দিয়ে পোকা নিধনে কৃষকদের উৎসাহিত করায় রোগ বালাই এবছর কম দেখা যাচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. রেজাউল করিম জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী ধান চাষ হয়েছে। শুরু থেকেই কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের সঠিক সময়ে চারা লাগানো, নিবিড় পর্যবেক্ষণ, সার ও কীটনাশক প্রয়োগের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে উপজেলার ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।

মাঠ পর্যায়ে আমার লোকজন কৃষকের সাথে ধান ঠিক রাখার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সকল ধরনের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে উপজেলার বিশেষ করে চরের একাধিক কৃষকের সাথে কথা বলায়, তাঁরা জানান, বিগত ১৫ বছরেও ভুট্টার এরকম ফলন দেখা যায়নি। তাছাড়া, বাজারে ভুট্টার দাম ভালো থাকায় কৃষকরা এবার ভুট্টাচাষে লাভবান হবে বলে জানান।

মে ০৮,২০২২ at ১৭:০৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/আসোচা/রারি