তাড়াইলের বোয়ালিয়া বিল জলমহাল গো চারণ ভূমিতে পরিনত

কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার ধলা ইউনিয়নের বোয়ালিয়া বিল জলমহালটি এখন গো চারণ ভূমিতে পরিনত হয়েছে।

শনিবার (৭ মে) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বোয়ালিয়া বিল জলহমাল থেকে রোপণকৃত বোরো ধান কেটে ফেলা হয়েছে। এখন সেই জলমহালটিকে গো চারণ ভূমিতে পরিনত করেছে। এতে করে এলাকাবাসীসহ আশপাশের লোকজনের মাঝে ক্রোভ বিরাজ করছে।

জানা যায়, ইতিপূর্বে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছিল দক্ষিণ ধলা গ্রামের মৃত উমর আলীর ছেলে জিলু মিয়া গং। সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুলিপি দেয়া হয়েছিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও অফিসার ইনচার্জ তাড়াইল বরাবর।
এনিয়ে ইতিপূর্বে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।

আরো জানা যায়, বোয়ালিয়া বিল জলমহালটি উপজেলার ধলা ইউনিয়নের সেকান্দরনগর মৌজায় অবস্থিত। জলমহালটির আয়তন ২৭ একর ৮৫ শতাংশ। জলমহালটিকে ৬ বছরের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে ইজারা গ্রহণ করেছে গজারিয়া পূর্ব পাড়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি। অথচ গজারিয়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতিটি বোয়ালিয়া বিল জলমহাল থেকে ২৫-৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

আরো পড়ুন :
ভোজ্য তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে গাইবান্ধায় সিপিবির বিক্ষোভ মিছিল
থানচিতে দেড় কোটি টাকার মূল্যে ইয়াবা উদ্ধার

এত দূর থেকে মাছের অভয়াশ্রম তৈরি কিংবা সারা বছর সংরক্ষণ করিয়া মাছ চাষ করা বাস্তবিকই সম্ভব নয়। গজারিয়া পূর্বপাড়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির পক্ষ থেকে অলিখিত সাবলিজ দিয়াছে উপজেলার ধলা ইউনিয়নের উত্তর সেকান্দরনগর গ্রামের তাজুল মিয়া, সাইকুল মিয়া, বাদল মিয়া, রেহান মিয়া, পাভেল মিয়া, উজ্জল মিয়া, আবদুল হক মিয়া, আতাহাদ মিয়া, মোস্তাহাব মিয়া ও সিরাজ মিয়া গংদেরকে।

সাবলিজওয়ালাগণ বোয়ালিয়া বিল জলমহালটি শুকিয়ে বোরো ধান রোপন করে এখন তা কেটে গো চারণ ভূমিতে পরিনত করেছে। এতে করে বিলের অস্তিত্ব বিলুপ্ত হতে চলেছে। বিগত বছরেও তাজুল গংরা জলমহালটিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে খাস কালেকশনে এনে বিলটি শুকিয়ে বোরো ধান রোপন করিয়াছিল।

উপজেলার ধলা ইউনিয়নের দক্ষিণ ধলা গ্রামের জিতু মিয়া, আবদুল বারেক, উত্তর সেকান্দর নগর গ্রামের সবিকুল ইসলাম (সবু মিয়া), আবু সায়েম ও মামুন মিয়া তারা প্রশাসনের কাছে বোয়ালিয়া বিল জলমহালটির অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে আইনানুগ ব্যাবস্হা গ্রহণ করার জন্য সদয় আবেদন জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুবনা শারমিন এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি সরেজমিনে গিয়ে দেখব।

মে ০৭,২০২২ at ১৬:৫৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/রুআ/রারি