বৃষ্টিতে ছন্দপতন ঈদ আনন্দ, দুপুরের পর থেকে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে উপছে পড়া ভিড়

ঈদের দিন ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদফতর। হয়েছেও তাই। তবে ঈদ জামাতের সময় নয়, দমকা হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি এসেছিল মঙ্গলবার (৩ মে) সকালে ঈদের নামাজ চলাকালে ।

সকালে বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়েন মুসল্লিরা। সকাল সাড়ে ৮টার কিছু পরে শুরু হয় বৃষ্টি। এতে ঈদ জামাতে মুসল্লিরা দুর্ভােগে পড়েন। দেশের বিভিন্ন ঈদগাহে বৃষ্টির কারণে নামাজ পড়তে পারেননি মুসল্লিরা।

আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়, ঈদের দিনসহ পরের দুদিন সারা দেশে থেমে থেমে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। এতে গরমের তীব্রতাও কমে যাবে। লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন বাংলাদেশ এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। ফলে খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বিজলী চমকানোসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে দুপুর থেকে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে থাকে দর্শনার্থীদের ভিড়। পরিবারে সবার ছোট সদস্য থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধরাও বেড়িয়ে আসেন আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি-ঘর। কেউবা নতুন পারিবারিক সম্বন্ধের কথা-বার্তা চূড়ান্ত করেন এই দিনে। কিন্তু ঈদের দিন এই আনন্দে বাগড়া দিয়েছে বেরসিক বৃষ্টি।

এছাড়া সড়কে যানবাহনের সংখ্যা কম থাকায় কেউবা হেঁটে রওনা দেন গন্তব্যে। চিকিৎসক, পুলিশ, সাংবাদিক সহ যাদের ছুটি নেই তারা আছেন দায়িত্ব পালনে। সবার কাজে ছন্দপতন ঘটিয়েছে এই বৃষ্টি। পাশাপাশি মিলেছে স্বস্তিও। গত কয়েকদিনের ভ্যাপসা গরম থেকে শহরবাসীর মিলেছে মুক্তি।