ইউনিয়ন পরিষদ থেকে হতদরিদ্রদের ঈদের চাল বিক্রি, উদ্ধার করলো এলাকাবাসী

ঝালকাঠিতে ঈদ উপলক্ষে সরকারের দেয়া ভিএফএর ৯ বস্তা চাল বিক্রি করে দেয়া হয়েছে গ্রামের চৌকিদার ও এক চাল ব্যবসায়ীর কাছে। আর পুলিশের সহায়তায় তা উদ্ধার করেছে এলাকার তরুণ সমাজ। কিন্তু কিভাবে এ চাল বিক্রি করা হলো তা জানেনা চেয়ারম্যান।

ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার ভৈরবপাশা ইউনিয়নে শনিবার সকালে ঈদ উপলক্ষে দরিদ্র মানুষের মাঝে ১০ কেজি করে সরকারি বরাদ্দের চাল বিতরণ করা হয়। কিন্তু সেই চাল থেকে একটন পরিমান গোপনে বিক্রি করা দেয়া হয় স্থানীয় চৌকিদার আয়নাল হক ও ধান-চাল ব্যবসায়ী ইউসুফ হাওলাদারের কাছে। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয় গ্রামবাসী ও তরুণ সমাজ তাদের বাড়িতে গিয়ে রাতে ওই চাল উদ্ধার করে। খবরে পেয়ে পুলিশ এসে চাল জব্দ করে। ইউনিয়ন পরিষদের একটি চক্র এ চাল বিক্রি করেছে বলে চৌকিদার আয়নাল হক ও ধান-চাল ব্যবসায়ী ইউসুফ হাওলাদার স্বীকার করেন। কিন্তু স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিষয়টি জানানে বলে দাবী করেছেন। এদিকে চাল উদ্ধারের ঘটনায় ক্ষোভে ফেঁটে পড়ে এলাকাবাসী। তারা এ ঘটনার দৃষ্টান্ত মূলক বিচার দাবী করেছেন।

আরো পড়ুন :
গাইবান্ধার দারিয়াপুরে মহান মে দিবস পালিত

চাল জব্দ করে পুলিশ বলছে, বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। অপরদিকে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানও এ চাল বিক্রির বিষয়টি সম্পর্ক্যে কিছুই জানেনা বলে দাবী করেছেন। ঝঙঞ.মনোরঞ্জন মিস্ত্রী, ওসি (তদন্ত), নলছিটি থানা, ঝালকাঠি ও আব্দুল হক, চেয়ারম্যান ভৈরবপাশা ইউনিয়ন পরিষদ, ঝালকাঠ।ঝালকাঠি জেলার এই ইউনিয়নটিতে ঈদ উপলক্ষে মোট ২৩৬৬ জন দরিদ্র মানুষকে বিতরণের জন্য ২৩ টন ৬’শ ৪০ কেজি চাল বরাদ্দ হয়। শনিবার ১৯৫০ জনকে ১০ কেজি করে চাল দেয়া হয়েছিলো। উদ্ধার কৃত চালের আনুমানিক পরিমান ৪৫০ কেজি।

 মে ০১,২০২২ at ১৪:১০:০০(GMT+06)
দেশদর্পণ/দপঝ/এমএইচ